জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হলেন এক ‘যৌনদাসী’

Slider টপ নিউজ

a5da82b152778bff74f41b4d34a16ff0-12

ঢাকা:  ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গিদের হাত থেকে পালিয়ে আসা এক ‘যৌনদাসী’কে জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত করা হয়েছে। মানব পাচারের ঘটনায় ধকল সামলে যাঁরা টিকে আছেন, তাঁদের মর্যাদাস্বরূপ তাঁকে এই দূত করা হয়। তাঁর নাম নাদিয়া মুরাদ বাসে তাহা। ২৩ বছরের এই তরুণী ইরাকের ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের।

গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নাদিয়ার প্রধান কাজ হবে অপহৃত হওয়ার পর ফিরে আসা মানুষের দুর্দশার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা। বিশেষ করে, শরণার্থী এবং নারী ও শিশুদের বিষয়ে।

২০১৪ সালের আগস্টে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সিনজারের কাছের একটি গ্রাম কোচো থেকে নাদিয়াকে তুলে মসুলে নিয়ে যাওয়া হয়। মসুল তখন আইএসের নিয়ন্ত্রণে। সেখানে তিনি কয়েক দফায় গণধর্ষণের শিকার হন।

জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে নাদিয়া বলেন, ‘তারা যেভাবে চেয়েছে, আমাকে ব্যবহার করেছে। সেখানে আমি একা ছিলাম না। একসময় আমি পালানোর পথ খুঁজে বের করি। কিন্তু হাজারো মানুষ এখনো সেখানে আটক।’

সে কথা মনে করে গলাটা ধরে আসে নাদিয়ার। তিনি বলেন, প্রায় ৩ হাজার ২০০ ইয়াজিদি নারী ও মেয়েকে ‘যৌনদাসী’ হিসেবে ব্যবহার করছে আইএস জঙ্গিরা। তিনি তাঁদের মুক্ত করার আহ্বান জানান এবং অপরাধীদের বিচার চান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *