লালমনিরহাটের খবর

Slider রংপুর
19866466_702675163251728_490030015_n
এম এ কাহার বকুল; লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ, লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করায় স্কুল ছাত্রীর বাবা মিজানুর রহমান (৪০) কে মারধর করে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন আসামী। শনিবার (৮জুলাই) দুপুরে আশংকাজনক অবস্থায় আহত মিজানুর রহমান (৪০) কে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নে জমগ্রাম ডাংঙ্গা পাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানে মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ওই এলাকার কয়েক জন বখাটে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে মিজানর রহমান তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার জের ধরে শুক্রবার রাতে মিজানর রহমানকে (৪০) বাউড়া বাজারে আসলে ধর্ষণ মামলার আসামী আব্দুল মালেক (৩৫) ও তার সহযোগী সাফিউল (২৮), রফিকুল (৩০), আব্দুল জলিল (৩১) তাকে বেধড়ক মারধর করেন এবং মামলা তুলে নেওয়া হুমকি প্রদান করেন। এসময় আসামীরা তার কাছ থেকে মামলা চালানোর জন্য এক লক্ষ টাকা দাবী করেন। ওই দিন রাতে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় মিজানর রহমান কে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান। পরে তার অবস্থা আশংঙ্খা জনক হলে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আহত মিজানুরের ভাই মাহামুদ আলম মামুন জানান, থানায় অভিযোগ করায় আমাকে এবং আমার দোকান পাঠে হামলা চালাবে বলে আসামীরা হুমকি প্রদান করছেন। বাউড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বসুনিয়া দুলাল জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি, হামলার শিকার পরিবারবর্গকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। পাটগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আব্দুল হালিম জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বিজিবি সুমন হত্যা মামলায় গ্রেফতার চার 
এম এ কাহার বকুল; লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ, লালমনিরহাট জেলারপাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম এলাকার বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত ৪ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ১৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন বিজিবির নায়েক শেখ আব্দুল ওয়াহেদ ।
শনিবার(৮ জুলাই) বেলা ৩টার দিকে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার (৭জুলাই) রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন বিজিবি’র দহগ্রাম ক্যাম্পের নায়েক শেখ আব্দুল ওয়াহেদ। মামলা দায়ের সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃতেদর ৪জনকে পুলিশে সোপর্দ করে বিজিবি। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামের কাতিপাড়া এলাকার আয়নাল হকের ছেলে সাইবালী মিয়া (৩৪), আব্দুর রশিদের ছেলে আবু তালেব (৩৫), মৃত দুর্জন আলীর ছেলে সোনা মিয়া (৩৯) ও মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৩)।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ২৬ জুন দিনগত রাতে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম ক্যাম্পে সংযুক্ত থাকা রংপুর-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়াসহ ৪ সদস্যের একটি টহল দল গোপন সংবাদ পেয়ে পাটগ্রামের দহগ্রাম সীমান্তের তিস্তা নদীর আবুলের চরে গিয়ে অবস্থান নেন। একদল চোরাকারবারীকে ভারতীয় গরু নিয়ে আসতে দেখতে প্রথমে আটকের চেষ্টা করেন টহল দলের অপর বিজিবির ল্যান্স নায়েক টুটুল মিয়া তিস্তা নদীতে নামেন। এ সময় চোরাকারবারীরা তার উপর হামলা চালালে সহকর্মীকে বাঁচাতে তিস্তায় নামেন ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া। এসময় চোরাকারবারীরা বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়াকে পানিতে ডুবিয়ে মেরে নদীতে ভেসে দিয়ে ছটকে পড়েন। দুদিন পর ২৮ জুন ঘটনাস্থল থেকে প্রায় চার কিলোমিটার ভাটিতে ভারতীয় তিস্তাপস্তি নামকস্থান থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তার মরদেহ উদ্ধার করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেন। ওই দিন পাটগ্রাম থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়। এ ঘটনায় বিজিবি ২ জুলাই থেকে দহগ্রামের কয়েকজনকে আটক করে কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। এরপর শুক্রবার (৭জুলাই) রাতে বিজিবির নায়েক শেখ আব্দুল ওয়াহেদ বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত ৪ জনসহ ১৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, ওই ঘটনায় দহগ্রামের চৌকিদার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে তহিজুল ইসলাম ও দহগ্রাম ক্যাম্পের সোর্স বলে পরিচিত মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে তৈজুল হক নুরুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে বিজিবি।
কিন্তু আটকের ৬ দিন পরও তাদেরকে থানায় বা তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হয় নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাটগ্রাম থানার ওসি তদন্ত ফিরোজ কবির জানান, বিজিবি ৪জন আসামীকে সোপর্দ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গুরুত্ব সহকারে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট-১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল গোলাম মোরশেদ মামলার বিষয়টি স্বীকার করলেও এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।


আগামী নির্বাচনে সব দল আংশগ্রহন করবে
তাই ছাত্রলীগকে সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হবে- শ্যামল
এম এ কাহার বকুল; লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহন করবে তাই ছাত্রলীগকে সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হবে। শনিবার(৮জুলাই) লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল একথা বলেন । বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে, হাসান আলীর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে্র উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান মামুন, প্রধান বক্তা সাধারন সম্পাদক ফাহিম শাহরিয়ার জিহান।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রব্বানী, বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আতিয়ার রহমান, চেয়ারম্যান গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ, এলিজা বেগম, সাধারন সম্পাদক গড্ডিমারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, সুলতান আহমেদ রাজন , সাধারন সম্পাদক সেচ্ছাসেবকলীগ ও আবু সায়েম যুগ্ম সাধারন সম্পাদক স্বেচ্ছা সেবকলীগ গড্ডিমারী ইউপি শাখা এ ছাড়াও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উক্ত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে গণতান্ত্রীক ভাবে ভোটের মাধ্যমে শহিদুল ইসলামকে সভাপতি, মিজানুর রহমান মিলন কে সহসভাপতি , হুমায়ুন কবির মাসুমকে সাধারন সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত করা হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *