মুকসুদপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলমের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

Slider সারাদেশ

1

 

 

 

 

 

 

 

এম আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম শিকদারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও কালো টাকার পাহাড় গড়ার বিষয় উল্লেখ করে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন একই উপজেলার কলিয়া গ্রামের মোঃ শাহজাহান তালুকদার।

দুর্নীতি দমন কমিশনে গত ২৩মে ২০১৭ তারিখে তার দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ কমিটির সাবেক সদস্য ভাবড়াশুর ইউনিয়নের কলিয়া গ্রামের মোঃ শাহজাহান তালুকদার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল আলম শিকদারের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ১১টি বিষয় উল্লেখ করে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। কমিশনের সীল মোহরকৃত প্রাপ্তি স্বীকারের ছায়ালিপিতে জানা যায়, উক্ত অভিযোগপত্রে তিনটি দামী গাড়ি, দুইটি দোতলা বাড়ি, মুকসুদপুর সদরে ২ দাগে ৪৭ শতাংশ জমি সহ মোট ১১টি দুর্নীতির বিষয় উল্লেখ করে অর্জিত টাকার অঙ্ক উল্লেখ করা হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৭ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা।

এছাড়াও মুকসুদপুরে ব্যাংক এশিয়া, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, গোপালগঞ্জ ইউসিবিএল ব্যাংক ও ঢাকার কয়েকটি ব্যাংকে তার নিজ নামে ও স্ত্রী-সন্তানদের নামে বিপুল অঙ্কের টাকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। অথচ রবিউল আলম শিকদার ২০০৮ সালে যখন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তখন তিনি তার নির্বাচনী হলফনামায় মোট সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেছিলেন নগদ ৪৮ হাজার টাকা, বার্ষিক আয় ১,১৫,৪৫০ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণ, আসবাবপত্রের মুল্য ২০,০০০ টাকা এবং পৈত্রিক ৫ শতাংশ ভিটার উপরে ২টি সেমিপাঁকা ঘর। স্ত্রীর নামে নগদ ১ লক্ষ টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণ এবং ৮২ হাজার টাকার আসবাবপত্র। উপজেলার ৫৮নং দক্ষিণ চন্ডিবর্দি মৌজায় ৮৯নং খতিয়ানের হাল দাগ ১৯৮-এর ১.৩৭ শতাংশ জমি তাঁর স্ত্রী পৈত্রিক সূত্রে পেয়েছেন। উক্ত জমির পাশেই মুকসুদপুর পৌরসভার কোটি টাকা মূল্যের কয়েক শতাংশ জমি অবৈধ দখল করে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করে বর্তমানে বসবাস করছেন। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় বিভিন্ন ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়নপত্র দেয়া হবে আশ্বাস দিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। উপজেলার ৪৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম-পিয়ন পদে নিয়োগ দেয়ার নাম করে প্রতি জনের নিকট থেকে ৫/৬ লক্ষ টাকা ঘুষ বাবদ হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি জনৈক টুকু কমিশনারকে ৮০ লক্ষ টাকা ধার দেন। সেই টাকা সময়মত ফেরৎ না পেয়ে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন, অথচ সে তার অর্জিত অর্থের ইনকাম ট্যাক্স/ভ্যাট ও টাকা হোয়াইট মানি না করে কালো টাকার পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। রবিউল আলম শিকদার খুবই প্রভাবশালী বিধায় কেউ তার অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। উপজেলার সকল কর্মকর্তা তার ভয়ে তটস্থ থাকে বিধায় সকল দুর্নীতি সহজেই করে যাচ্ছেন। এসব বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন মোঃ শাহজাহান তালুকদার।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *