জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা ঝিনাইদহ বিদ্যুত অফিসের(ওজোপাডিকো) কর্মচারী কর্মকর্তাদের ভুলে লক্ষ লক্ষ টাকা গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের

Slider খুলনা

10917893_1586310234843177_2785436532876773338_n

 

 

 

 
স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ জেলায় বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ১১ হাজার গ্রাহকের ভোগান্তি চরমে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের ঝিনাইদহ জেলা ওজোপাডিকোর বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিল আবার পরিশোধ করতে হচ্ছে ।ঝিনাইদহ জেলা ওজোপাডিকোর অফিস কাজটি এমন ভাবে করছে যাহাতে সবাই এক সাথে বুঝতে না পারে। বিষয়খালী গ্রামের কয়েক জন গ্রাহক সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন যে আমাদের বিদ্যুৎ বিল ১ মাস বাকি বকেয়া হওয়ার পর পরের মাসে আর বিল আসে না।

অফিসে খোঁজ করতে গেলে বলে যে ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের বিল বাকি আছে। এই দিয়ে ২ মাস আর চলতি মাসের বিল না দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করে দেওয়া হবে। তখন তারা বলে যে আমরা তো বিল বাকি রাখি নাই অথবা এই ৮ বছর আগের বিল যদি আমাদের বাকি থাকে তাহলে কেন চাওয়া হয় নি। এই প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কোন সঠিক উত্তর না দিতে পেরে বলে যে যারা ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের বিল পরিশোধের কাগজ দেখাতে পারবে তাদের পুনরায় বিল দিতে হবে না। যারা না দেখাতে পারবে তাদের বিল পরিশোধ করতে হবে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্নতার ভঁয়ে সাধারন মানুষ বাধ্য হচ্ছে এই বাড়তি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে। বিদ্যুৎ অফিস তাদের আরো বলেছে যে খুলনা বিভাগীয় অফিসের কম্পিউটার থেকে ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের বিল ফাইল ডিলেট হয়ে যাওয়ার কারনে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

এই নিয়ে ঝিনাইদহের ১১ হাজার গ্রাহক পড়েছে বিপাকে। কারন কার নিকট আছে সেই ৮ বছর আগের বিদ্যুৎ বিলের কাগজ কোথায় পাবে। যারা বিলের কপি দেখাতে পারছে তারা এই বাড়তি বিল দেওয়া থেকে মাপ পাচ্ছে। যারা দেখাতে পারছে না তাদের এই অতিরিক্ত মাশুল গুনতে হচ্ছে। এই নিয়ে জন সাধারনের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যেমন বিদ্যুৎ বিভাগের কোন কর্মকর্তার ভুলে যদি কোন ফাইল ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে তার মাশুল দেবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর অথবা সরকার। তার মাশুল কেন সাধারন মানুষ কে দিতে হবে? বিষয়ে ঝিনাইদহের সাধারন মানুষ সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে যুক্ত বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের শাস্তি দাবী করে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন। যাতে সাধারন জনগনের বাড়তি বিলের মাশুল না গুনে বিদ্যুৎ বিভাগের হয়রানি থেকে মুক্তি পায়।

এই প্রসঙ্গে ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান ২০০৯ সালের জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সারবার সমস্যা থাকার কারনে অনেক বিল ফাইল মুছে যাওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। যারা বিলের কপি দেখাতে পারছে তাদের টা নেওয়া হচ্ছে না। যারা দেখাতে পারছে না তাদের টা পরীক্ষা করে না পাওয়া গেলে তাদের বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *