কাটাপ্পা তাঁর মেয়েকেও বলেননি যে রহস্যের কথা

Slider বিনোদন ও মিডিয়া

121859000-102

 

 

 

 

বাহুবলী সিনেমা তার প্রথম পর্ব থেকেই, যাকে বলে একেবারে সেনসেশন। প্রথম ভাগটির বিপুল জনপ্রিয়তার পরে তৈরি হয় সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব। বাহুবলী ২ রিলিজের আগে থেকেই এই সিনেমা সম্পর্কে বিরাট প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল দর্শকদের মনে। আসলে সিনেমার প্রথম ভাগে কাটাপ্পার হাতে মরতে হয়েছিল বাহুবলীকে। কিন্তু কেন কাটাপ্পা বাহুবলীকে মারল, সেই প্রশ্নের উত্তর প্রথম ভাগে মেলেনি। প্রোডাকশন হাউজের তরফে প্রচার করা হয়েছিল যে, সিনেমার দ্বিতীয় ভাগে মিলবে সেই প্রশ্নের উত্তর। এই সাসপেন্সই প্রকৃত অর্থে বাহুবলী ২ সিনেমার জনপ্রিয়তার চাবিকাঠি।

বাহুবলীর প্রথম ভাগ দেখার পর থেকেই সারা বিশ্বের অজস্র দর্শক ব্যাকুল ভাবে জানতে চাইছিলেন, কেন বাহুবলীকে মারল কাটাপ্পা? সে ক্ষেত্রে এ কথা মনে হওয়া স্বাভাবিক যে, এই ফিল্মের কাস্ট অ্যান্ড ক্রিউ, অর্থাৎ সিনেমার যাঁরা অভিনেতা এবং কলাকুশলী, তাঁদের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে পরিচয় থাকলে নিশ্চয়ই সিনেমা রিলিজ হওয়ার আগেই এই কৌতূহল নিরসন হতো। কারণ যাঁরা সিনেমাটি নির্মাণের সঙ্গে জড়িত, তাঁরা নিশ্চয়ই সিনেমার পুরো কাহিনিটি আগে থেকেই জানতেন, ফলে তাঁদের মুখ থেকে কটাপ্পার হাতে বাহুবলীর মৃত্যুর কারণ জেনে নিতে পারতেন তাঁদের আত্মীয়-বন্ধুরাও। কিন্তু বিষয়টা যে আদপে তেমনটা নয় তা খোদ কাটাপ্পার মেয়ের মুখ থেকেই জানা গিয়েছে।

বাহুবলী সিনেমায় কাটাপ্পার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা সত্যরাজ। তাঁর মেয়ে দিব্যা সত্যরাজ সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, রুপোলি পর্দার কাটাপ্পা তাঁর মেয়ে কিংবা পরিবারের অন্য সদস্যদেরও জানাননি যে, কেন কাটাপ্পা মারল বাহুবলীকে। দিব্যা জানান, আমরাও অন্যান্য দর্শকের মতোই বাহুবলী প্রথম ভাগ দেখার পর থেকেই জানতে চাইছিলাম, কেন হঠাৎ বাহুবলীকে মারল কাটাপ্পা? আমার বাবাই কাটাপ্পার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ফলে বাবা নিশ্চয়ই জানতেন ফিল্মের স্টোরিটা। সেই মনে করে বাবার কাছে বার বার জানতে চাইতাম, কেন বাহুবলীকে মারল কাটাপ্পা? কিন্তু বাবা সেই প্রশ্নের উত্তর কেবলই এড়িয়ে যেতেন। আমাদের পরিবারে বাবা বাদে অন্যরা অনেক সময় আঁচ করার চেষ্টা করতাম যে, কেন কাটাপ্পা বাহুবলীকে মারল? আমাদের অনুমানের কথা শুনে বাবা খালি মুচকি হাসতেন।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, একা সত্যরাজ নয়, ফিল্মের সমস্ত কলাকুশলীই এই ভাবে সিনেমার কাহিনি সম্পর্কে গোপনীয়তা রক্ষা করে চলেছিলেন। গোপনীয়তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে ১৫০ জন ক্রিউ মেম্বারের কাছ থেকে রীতিমতো বন্ড স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছিল ফিল্মের প্রোডাকশন হাউজ। প্রোডাকশন হাউজ নিশ্চিত করতে চেয়েছিল যে, বাহুবলী ২ রিলিজের আগে কোনও ভাবেই এর কাহিনি যেন এর সম্ভাব্য দর্শকদের মধ্যে ফাঁস না হয়ে যায়। এই কারণে ফিল্মের কলাকুশলী এবং অভিনেতারা তাঁদের পরিবারের লোকেদের পর্যন্ত জানাতে চাননি, কেন বাহুবলীকে মারল কাটাপ্পা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *