ইনানী সৈকতে ক্ষণিকের জন্য হারিয়ে গেলেন শেখ হাসিনা

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি চট্টগ্রাম জাতীয় সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

221150hasina_kalerkantho_Pic

 

 

 

 

 

সাগরের ফেনিল ঢেউয়ে নেমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষণিকের জন্য হারিয়ে গিয়েছিলেন শৈশবে। বার বার তিনি জোয়ারের পানিতে পা ভিজাচ্ছিলেন। জোয়ারের পানি বালুকাময়ে আছড়ে পড়ে আবার সেই পানি নেমে যায়। বালুকাতটে প্রধানমন্ত্রীর সময়টি কেটেছে খালি পায়ে হাঁটাহাটি করেই। কক্সবাজারের ১২০ কিলোমিাটার দীর্ঘ বালুকাময় সৈকতের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানটিই হচ্ছে পাথুরে সৈকত খ্যাত ইনানী। এই ইনানীতেই রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত স্থানও।

শনিবার পিতার (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) সেই স্মৃতি বিজড়িত ইনানী সৈকতেই নেমেছিলেন কন্যা শেখ হাসিনা। ইনানী সৈকতে রয়েছে বন বিভাগের একটি রেস্ট হাউজ। সেই রেস্ট হাউজটিতেই বঙ্গবন্ধু তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান আমলের ১৯৫৮ সালে দু’দফা অবস্থান নিয়েছিলেন। সেই আমলে রেস্ট হাউজটি ছিল কাঠের তৈরি বাংলো।

১৯৫৮ সালের সেই রেস্ট হাউজে (বাংলো) অবস্থান করাকালীন সময়ে অতিথি রেজিস্ট্রারে বঙ্গবন্ধুর স্বহস্তের স্বাক্ষরটি এখনো স্পষ্ট রয়েছে। এছাড়াও ইনানী সৈকতের পার্শ্বেই রয়েছে ইনানী চেনছুরি নামক অরণ্যঘেরা সেই আদিবাসী পল্লী। ১৯৫৮ সালের আইউব খানের সামরিক শাসনের সময় এই অরণ্যঘেরা আদিবাসী প্রয়াত ফেলোরাম রোয়াজার ঘরে বঙ্গবন্ধু ‘অজ্ঞাতবাসে’ ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই সময়কালের স্মৃতি নিয়ে দৈনিক কালের কণ্ঠে ২০১০ সালের ১৭ মার্চ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সেই থেকেই বঙ্গবন্ধুর জীবনের অজানা অধ্যায়টি নিয়ে জানাজানি হয়।

শনিবার প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের সেই স্মৃতিময় স্থানটিতে গিয়ে সৈকতে নেমে পড়েন। তিনি সৈকতের ফেনিল ঢেউয়ে খালি পায়ে কিছু সময় অতিবাহিত করেন। এরপর তিনি ইনানীতে সেনাবাহিনীর বাংলো ‘বেওয়াছ’ প্রাঙ্গণে আয়োজিত মেরিন ড্রাইভ সড়কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, ‘কক্সবাজারে আমি সর্বপ্রথম পা রেখেছিলাম ১৯৬২ সালে। তাও বাবার সাথে এসেছিলাম। এরপর এসেছিলাম ১৯৬৪ সালে। আমার বাবাতো থাকতেন কারাগারে বন্দি। বাবা মুক্তি পেলেই একটু বেড়ানোর সময় হত অন্যথায় নয়। ’

শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, সেদিনের কক্সবাজার আর এদিনের কক্সবাজারের মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। সেকালে ছিল সৈকত পাড়ে কয়েকটি ছোটখাট কটেজ। কিন্তু এখন কি হয়ে গেল কক্সবাজার। তিনি বলেন, কক্সবাজারের প্রতি জাতির জনকের যেমনি দুর্বলতা ছিল সেটি রয়েছে আমারও। একারণেই কক্সবাজারকে সাঁজানো হচ্ছে একটি বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ার আদলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *