জঙ্গি ও মাদক পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জ- আইজিপি

Slider ঢাকা সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী সারাদেশ

Crime-Conference-1.jpg-145

 

 

 

 

ঢাকা ;   বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) জনাব এ কে এম শহীদুল হক বিপিএম, পিপিএম বলেছেন, জঙ্গি এবং মাদক আমাদের মূল সমস্যা। জঙ্গিবাদ দমন এবং মাদক নির্মূল বর্তমানে পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ ও মাদকের  বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। আইজিপি জঙ্গিবাদ দমন এবং মাদক নির্মূলে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

আইজিপি বলেন, জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল। তিনি এ অবস্থা ধরে রাখতে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

আইজিপি আজ সোমবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় (জানুয়ারি-মার্চ ২০১৭) সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সভায় সকল পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ সুপার, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি বলেন, মাদক দ্রব্যের কুফল সম্পর্কে সর্বস্তরের জনগণের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যক্তিরা যে দলের সদস্য হোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীর সাথে পুলিশের কোন সদস্যের যোগাযোগ থাকতে পারবে না। কোন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীর সাথে যোগাযোগ রয়েছে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমাদের সমাজে মেয়েরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হন। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। আইজিপি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নিবিড়ভাবে নিয়মিত মনিটর করার জন্য জেলা পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, মিথ্যা মামলার হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

আইজিপি বলেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কমিউনিটি পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার করে এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়িয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, থানায় আসা সেবা প্রত্যাশীদের সাথে ভাল আচরণ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরী, রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ আবুল কাশেম, ডিআইজি (অর্থ) এ কে এম শহিদুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি (সিটি) মোঃ আমিনুল ইসলাম, এআইজি (কনফিডেন্সিয়াল) মোঃ মনিরুজ্জামান, সিআইডির এসএস মোল্যা নজরুল ইসলাম প্রমুখ ব্যক্তব্য রাখেন।

সভায় এসবির অতিরিক্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন, রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান,  অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশনস্) মোঃ মোখলেসুর রহমান, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, পুলিশ টেলিকমের অতিরিক্ত আইজিপি বিনয় কৃষ্ণ বালা, এপিবিএন’র অতিরিক্ত আইজিপি সিদ্দিকুর রহমান, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ নওশের আলী এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *