প্রাণে রক্ষা পেলেন ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত আলী তালুকদার। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের ছেলেই মেয়রকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার জোবায়েদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মেয়র লিয়াকত আলীকে লক্ষ্য করে তাঁর ছেলে আমিনুল ইসলাম গুলি ছুড়েছেন। মেয়রের বাসা থেকে একটি লাইসেন্সবিহীন পিস্তল ও ১৪টি গুলি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি ঝালকাঠি পৌরসভায় লাইসেন্সবিহীন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ করে দেন মেয়র লিয়াকত। নতুন করে লাইসেন্স দেওয়াও বন্ধ করেন তিনি। কিন্তু মেয়রের বড় ছেলে আমিনুল লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন করে লাইসেন্স দেওয়ার জন্য তাঁর বাবাকে চাপ দেন। এ নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মেয়রের কোর্ট সড়কের বাসভবনে বাবা-ছেলের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আমিনুল উত্তেজিত হয়ে বাবাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে লিয়াকত প্রাণে রক্ষা পান। মেয়র লিয়াকত তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ বাসা থেকে আমিনুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। পরে পুলিশ ওই বাসা থেকে একটি পিস্তল, ১৪টি গুলি ও একটি গুলির খোসা জব্দ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোর্ট সড়ক এলাকার দুজন বাসিন্দা জানান, সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে পৌর মেয়রের বাসায় দুই থেকে তিনটি গুলির শব্দ শুনতে পান। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ এসে মেয়রের বড় ছেলে আমিনুল ইসলামকে আটক করে।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহে আলম বলেন, ‘মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার আমাকে ফোন করে বলেন, তাঁর ছেলে আমিনুল ইসলাম মদ্যপান করে মাতলামি করছে। খবর পেয়ে আমি আমিনুলকে বাসা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।’
পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার মুঠোফোনে বলেন, ‘বাসায় পুলিশ এসেছে। পরে কথা বলি।’
থানায় আটক থাকায় আমিনুল ইসলাম তালুকদারের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।