ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর সাময়িক বরখাস্ত

Slider টপ নিউজ

61de5a049ac95c070ea65cb7cd1487cc-7c51bbf191c5bbe2ac1ba761c2f600a7-91_CHAIRMAN-DEWAN-ATIKUR-RAHMAN

ব্রাহ্মণবাড়িয়া; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার অন্যতম প্রধান সন্দেহভাজন হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহাবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
গত ১৫ জানুয়ারি উপসচিব স্বাক্ষরিত এই দাপ্তরিক আদেশটি আজ সোমবার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৌঁছায়।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিয়াকত আলী বলেন, সোমবার দুপুরে চিঠিটি আমাদের হাতে এসেছে। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ইউপি সদস্য শেখ দ্বীন ইসলামকে প্রথম প্যানেল চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এখন থেকে তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি ছাড়াও অন্য প্যানেল চেয়ারম্যানরা হলেন-ইউপি সদস্য প্রফুল্লা দাশ ও শাহানা বেগম।

৫ জানুয়ারি আতিকুরকে ঢাকার ভাটারা এলাকা থেকে আটক করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নাসিরনগর গৌরমন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রসরাজ দাসের বড় ভাই দয়াময় দাসের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আতিকুরকে দুই দিনের রিমান্ডেও নেওয়া হয়।

রসরাজের ভাইয়ের করা মামলায় এক যুবক গ্রেপ্তার

উপজেলার হরিপুর ইউপির হরিণবেড় গ্রামে রসরাজ দাসের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরে জড়িত সন্দেহে জালাল মিয়া (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পু্লিশ। আজ বিকেলে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শংকরাদহ গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। জালাল শংকরাদহ গ্রামের ছবুর মিয়ার ছেলে।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু জাফর জানান, বিকেলে পুলিশ শংকরাদহ গ্রাম থেকে জালালকে গ্রেপ্তার করে। হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামে রসরাজ দাসের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের সঙ্গে জালাল জড়িত বলে প্রমাণ রয়েছে।

গত ৩০ অক্টোবর রাতে নাসিরনগরের রসরাজ দাস নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক থেকে ধর্মীয় অবমাননাকর পোস্ট নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরে হিন্দু বসতি ও মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। নাসিরনগর সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে হরিণবেড়ে রসরাজদের বাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এরপর আরও চার দফায় হিন্দুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় আটটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আতিকুরসহ ১০৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *