শহীদ বেদীতে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর নামে ফুলের তোড়া

Slider রংপুর

kurigram-map

রংপুর ডেস্কঃ দেশের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর নামে থাকা কাশেম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুলের তোড়া দিলে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আমিনুল ইসলাম তীব্র প্রতিবাদ ও বাঁধা প্রদান করেন। বাঁধার মুখে তাৎক্ষনিক ভাবে ঐ তোড়া শহীদ মিনার থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য মাইকে ঘোষনা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে ৪৫তম বিজয় দিবসের প্রথম প্রহর গত শুক্রবার রাত সোয়া ১২টায়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি করে।

জানা গেছে নির্ধারিত কর্মসুচী অনুযায়ী শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে বিজয় দিবসের সুচনা হয়। এরপর একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদ বেদীতে ফুলের তোড়া দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে তৎকালিন পূর্ব পাকিস্থান জাতীয় পরিষদের ডিপুটি স্পীকার ও একাত্তুরের তালিকাভুক্ত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী আবুল কাশেম মিয়া’র নামে পরিচালিত কাশেম ফাউন্ডেশন এর নামে লেখা ফুলের তোড়া শহীদ বেদীতে দেয়ার কথা মাইকে ঘোষনা করা হয়। এ সময় ফুলের তোড়া দিচ্ছিলেন কাশেম ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি শিল্পপতি তাসভীর উল ইসলাম।।এ ঘোষনার সাথে সাথে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডারসহ উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী জনতা তীব্র প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হায়দার আলী মিঞা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম,সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মনিরুজ্জামান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার ফয়জার রহমানসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সহস্রাধিক মানুষ। তাদের প্রতিবাদের মুখে তাৎক্ষনিক ভাবে বিতর্কিত ঐ তোড়াটি শহীদ মিনার থেকে নামিয়ে ফেলার কথা ঘোষনা করা হলেও তা শেষ পর্যন্ত সরিয়ে ফেলা হয়নি।

শুক্রবার সকাল থেকে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর নামে ঐ তোড়াটি শহীদ বেদীতে দেখে অনেকেই স্থানীয় প্রশাসন ও আয়োজকদের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আর ঘৃনা প্রকাশ করেছেন সাধারন মুক্তিযোদ্ধা ও জনতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *