প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেওয়ায় বিএনপি নেতা আটক

Slider সারাদেশ

53ab51cf77eb61d93f2796c420e5438c-1

বাগমারা  প্রতিনিধি; প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে অশালীন বক্তব্য দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহীর বাগমারা থানার পুলিশ এক বিএনপির নেতাসহ তিনজনকে আটক করেছে। তবে মূল অভিযুক্ত আবদুর রাজ্জাককে (২৬) পুলিশ ধরতে পারেনি। আটক বিএনপি নেতার নাম সাহেব আলী (৩৯)। তিনি নরদাশ ইউনিয়ন বিএনপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ও হাটমাধনগর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। অপর দুজন হলেন হলেন অভিযুক্ত আবদুর রাজ্জাকের মা ও মামি। পুলিশ আটক দুই নারী সম্পর্কে বলেছে, মূল হোতার সন্ধানের জন্য তাঁদের থানায় রাখা হয়েছে।
বাগমারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, উপজেলার হাটমাধনগর গ্রামের আবদুর রাজ্জাক (২৬) নামের এক ব্যক্তি গত মঙ্গলবার তাঁর ফেসবুকের আইডি থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অশালীন বক্তব্য লিখে একটি স্ট্যাটাস দেন। এর পরেই বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের নজরে আসে। এতে এলাকায় প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি ও উত্তেজনা দেখা দেয়।

রাতে নরদাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি আজিবর রহমান থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই পুলিশ শিবিরের সাবেক ওই কর্মীকে আটকের জন্য অভিযান চালায়। তবে পুলিশ তাঁকে ধরতে পারেনি। এ ঘটনার ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ স্থানীয় বিএনপির ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক স্কুলশিক্ষক সাহেব আলীকে এবং শিবির কর্মীর মা ও মামিকে আটক করে।

অভিযোগকারী আওয়ামী লীগের ওই নেতা আজিবর রহমান বলেন, স্ট্যাটাস দেওয়া আবদুর রাজ্জাক শিবিরের কর্মী ছিলেন। এর আগেও তিনি সরকারবিরোধী বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছেন। তবে বাগমারা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ওহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই নামে কোনো কর্মী আমাদের নেই।’

গতকাল সন্ধ্যায় বাগমারা খানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, স্কুলশিক্ষকের প্ররোচনায় ও ইন্ধনে আবদুর রাজ্জাক স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন। কললিস্টসহ আরও খতিয়ে দেখার জন্য তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মা ও মামিকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্জাককে ধরার জন্য থানায় রাখা হয়েছে। তাঁদের দুজনকে আটক করা হয়নি।

তবে এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য আবদুর রাজ্জাকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদের বিএনপি-সমর্থিত চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, ‘সাহেব আলী বিএনপির নেতা। ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত রয়েছেন কি না, জানি না। তবে আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *