রাতে নরদাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি আজিবর রহমান থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই পুলিশ শিবিরের সাবেক ওই কর্মীকে আটকের জন্য অভিযান চালায়। তবে পুলিশ তাঁকে ধরতে পারেনি। এ ঘটনার ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ স্থানীয় বিএনপির ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক স্কুলশিক্ষক সাহেব আলীকে এবং শিবির কর্মীর মা ও মামিকে আটক করে।
অভিযোগকারী আওয়ামী লীগের ওই নেতা আজিবর রহমান বলেন, স্ট্যাটাস দেওয়া আবদুর রাজ্জাক শিবিরের কর্মী ছিলেন। এর আগেও তিনি সরকারবিরোধী বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছেন। তবে বাগমারা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ওহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই নামে কোনো কর্মী আমাদের নেই।’
গতকাল সন্ধ্যায় বাগমারা খানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, স্কুলশিক্ষকের প্ররোচনায় ও ইন্ধনে আবদুর রাজ্জাক স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন। কললিস্টসহ আরও খতিয়ে দেখার জন্য তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মা ও মামিকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্জাককে ধরার জন্য থানায় রাখা হয়েছে। তাঁদের দুজনকে আটক করা হয়নি।
তবে এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য আবদুর রাজ্জাকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদের বিএনপি-সমর্থিত চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, ‘সাহেব আলী বিএনপির নেতা। ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত রয়েছেন কি না, জানি না। তবে আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে।