বুশরা হত্যা মামলায় কাদের ও তাঁর স্ত্রী খালাস

Slider বাংলার আদালত

51fa12237babe-high-court-2

 

ঢাকা;  কলেজছাত্রী বুশরাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এম এ কাদের ও তাঁর স্ত্রী যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রুনা আক্তার খালাস পেয়েছেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আজ মঙ্গলবার এই রায় দেন।
একই সঙ্গে নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ও পরে হাইকোর্টে খালাস পাওয়া আরও দুজনের খালাস আদেশ বহাল রয়েছে। তাঁরা হলেন, শেখ শওকত আহমেদ ও শেখ কবির আহমেদ। তাঁরা দুজনেই এম এ কাদেরের শ্যালক।

২০০০ সালে কলেজছাত্রী বুশরাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। নিজের শোয়ার ঘর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

হাইকোর্ট শেখ শওকত আহমেদ ও শেখ কবির আহমেদকে খালাস দিয়েছিলেন। এই খালাস আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছিল। এই আপিল খারিজ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলিরুজ্জামান। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

রায়ের পর দিলিরুজ্জামান বলেন, হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে খালাস দিয়েছিলেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছিলেন। তা খারিজ হয়েছে। ফলে দুজনের খালাস আদেশ বহাল রয়েছে। অন্যদিকে হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা এম এ কাদের ও যাবজ্জীবন পাওয়া রুনা আক্তার আপিল করেছিলেন। তাঁদের আপিল মঞ্জুর করেছেন আদালত। ফলে তাঁরাও খালাস পেলেন।

২০০৩ সালের ৩০ জুন বুশরা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও রুনা আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। ২০০৭ সালের ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে শওকত আহমেদ ও কবির আহমেদ খালাস পান। অপর দুজনের দণ্ড বহাল থাকে।

২০০০ সালে কলেজছাত্রী বুশরাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। নিজের শোয়ার ঘর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *