ঝিনাইদহের খবর

Slider খুলনা

school-photo

ঝিনাইদহে দলীয় কোন্দলে বিপাকে আওয়ামীলীগ !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। এ কারণে সাংগঠনিক কর্মকান্ড এখানো শক্তিশালী হতে পারেনি। জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনেক আগে সম্পন্ন করা হলেও পাঁচটি উপজেলায় এখনো সম্মেলন করা হয়নি। এ কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন গ্রুপ-উপগ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

শৈলকূপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করা হলেও কোন্দল নিরসন হয়নি। বরং সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কোন্দল আরও বেড়েছে। অনেক নেতা-কর্মীকে একঘরে ও কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি এলজিইডির টেন্ডার ড্রপ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা প্রবীণ আওয়ামী লীগে নেতা মোক্তার আহম্মেদ মৃধা ও তার ছেলে গোলাম মুরশিদ মৃধাকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছেন শৈলকূপা আসনের এমপি গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে শৈলকূপা আওয়ামী লীগের মধ্যে চলছে চরম উত্তেজনা।

হরিণাকুন্ডুতে একই অবস্থা। সেখানে মশিয়ার জোয়ার্দ্দার ও আফজাল হোসেন গ্রুপে আওয়ামী লীগ বিভক্ত।

ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) আসনেও দুটি গ্রুপ সক্রিয়। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান এমপি নবী নেওয়াজ এবং অপর গ্রুপের সাবেক এমপি শফিকুল আজম খান চঞ্চল।

কালীগঞ্জ উপজেলায়ও ব্যাপক দ্বন্দ্ব আওয়ামীলীগে। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। অন্য গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি আবদুল মান্নান। তাদের দুজনের মধ্যে দা-কুমড়া সম্পর্ক। এ কারণে এক নেতাকে প্রাণ দিতে হয়েছে।

ঝিনাইদহে ব্যাপক সাড়া পড়েছে সুবল লতা ধান চাষে !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে উদ্ভাবনকৃত সুবললতা ধান কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এবার আউশ মৌসুমে এ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক এখন এ ধানের মাড়াইকাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উৎপাদন সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধান আফ্রিকা থেকে আনা নেরিকা জাতের ধানকেও টপকে গেছে।

কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের আহসাননগর গ্রামে কৃষক সুবল বিশ্বাস ২০০৬ সালের দিকে এ ধান উদ্ভাবন করেন। ওই বছর তিনি তার জমিতে কাজললতা ধান চাষ করেন। এ ধানের মধ্যে ১টি ধানের শীষ খুবই পুষ্টিকর হয়। সেই ধান থেকে ২০০ গ্রাম ধান সংগ্রহ করেন। পরে ওই ধান বোরো মৌসুমে ১ শতক জমিতে চাষ করে ১ মণ বীজ উৎপাদন করেন।

এরপর গ্রামের ১৪-১৫ জন কৃষকের মধ্যে ধান বিতরণ করেন। শুরু হয় বিপ্লব। বিঘাপ্রতি জমিতে ৩০ থেকে ৩২ মণের কাছাকাছি ধান পাওয়া যায়। ঝড় ও দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষমতা রয়েছে এ ধানের। এর উচ্চতা ৮৫-৯০ সেন্টিমিটার, গাছ শক্ত হয়, চিটা হয় কম। এ ধান চাষে উৎপাদন খরচও একেবারে কম। আয়ুষ্কাল ১২০ দিন।

বর্তমানে ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, যশোর, মাগুরা, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, বগুড়া, বরিশালসহ প্রায় ২০টি জেলায় এ ধান চাষ হচ্ছে। এমনকি পাশের দেশ ভারতের কৃষকও বীজ নিয়ে এ ধানের চাষ করছেন।

এলাকার কৃষক অভাবনীয় সাফল্যের কারণে কৃষক সুবলের নাম দিয়ে এ ধানের নাম রাখেন ‘সুবললতা’। তবে এ ধান ব্যাপকভাবে চাষ হলেও ধান উদ্ভাবনের বিষয় মানুষের অজানা রয়ে গেছে। সেই সঙ্গে অনেক কৃষক চাইছেন, এ ধান যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পায়।

সুবললতা ধান উদ্ভাবনকারী কৃষক সুবল বিশ্বাস জানান, ইরি, বোরো, আউশ— এ তিনটি মৌসুমে এ ধানের বাম্পার ফলন হয়। অন্যান্য ধানের তুলনায় সার, কীটনাশক কম লাগে। ফলনের দিক থেকে লাভ হয় বেশি। এ ধানের চালও চিকন, ভাত খেতেও খুব সুস্বাদু।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ড. খান মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘একটা ভালো ধানের জাত বের করতে হলে বিভিন্ন রকম বৈজ্ঞানিক কর্মপন্থা অবলম্বন করতে হয়।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কৃষক সুবল বিশ্বাস এ ধানটি আবিষ্কার করেছেন। তাই আমাদের সিট বোর্ড এ ধানের জাতটা আত্মপ্রকাশ করলে দেশের কৃষক অত্যন্ত লাভবান হবেন বলে আমি মনে করি।’

ঝিনাইদহে শিক্ষক সংকটে ও অবকাঠামো সমস্যায় ৪০ স্কুল !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে তিন বছর আগে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর অনুমতি পায় ছয়টি বিদ্যালয়। কিন্তু অবকাঠামো সমস্যা আর শিক্ষকস্বল্পতার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো সফলতা দেখাতে পারেনি। এর মধ্যে চলতি বছর আরও ৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জেলার ছয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর অনুমতি দেয়। বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে সদর উপজেলার ফুরসন্ধী, কালীগঞ্জের দামোদরপুর, কোটচাঁদপুরের লক্ষ্মীকুন্ডু, মহেশপুরের কুশাডাঙ্গা, শৈলকুপার কবিরপুর ও হরিণাকুন্ডু কাপাশহাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলছেন, অবকাঠামো সমস্যা আর শিক্ষকস্বল্পতার কারণে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালানো তাঁদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ছে।

২০১৬ সালে এই তালিকায় আরও ৩৪টি বিদ্যালয়ের নাম দেওয়া হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ছয়টি, কালীগঞ্জে ছয়টি, কোটচাঁদপুরে তিনটি, মহেশপুরে ছয়টি, শৈলকুপায় আটটি ও হরিণাকুন্ডুু উপজেলায় পাঁচটি বিদ্যালয় আছে।

কালীগঞ্জের দামোদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণিতে সাতজন ক্লাস করছে। শিক্ষক সুমন বিশ্বাস ক্লাস নিচ্ছেন। চাটাই দিয়ে ভাগ করা কক্ষের আরেক পাশে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির চারজন শিক্ষক সুমনের জন্য অপেক্ষা করছেন।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রকিব উদ্দিন জানান, ২০১৩ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ২৭ জন ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষকস্বল্পতার কারণে ঠিকমতো ক্লাস নিতে না পারায় অনেকে অন্যত্র চলে গেছে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে মাত্র ৯ জন ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। কিন্তু পঞ্চম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রতিবছর ৪৫ থেকে ৫০ জন থাকে।

শিক্ষকেরা বলেন, স্কুলে বর্তমানে ২৩২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক আছেন মাত্র পাঁচজন। একজন দীর্ঘদিন ধরে প্রেষণে অন্যত্র আছেন। একজন শিক্ষক মাধ্যমিক পর্যায়ের ক্লাসগুলো নেন। এর মধ্যে বিদ্যালয়ে মাত্র চারটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। কিন্তু দরকার কমপক্ষে ছয়টি।

হরিণাকুন্ডু কাপাশহাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও শ্রেণিকক্ষের সংকট রয়েছে। প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, সাতটি ক্লাস একসঙ্গে চালাতে হয়, কিন্তু কক্ষ আছে ছয়টি। যে ছয়টি কক্ষ রয়েছে তার মধ্যে তিনটি পুরোনো টিনশেডের। সামান্য বৃষ্টি হলে সেখানে ক্লাস নেওয়া যায় না।

তিনি আরও বলেন, এ বিদ্যালয়ে ৩৪২ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। আর ষষ্ঠ শ্রেণিতে এ বছর ৩১ জন ভর্তি হয়েছে। দিন দিন শিক্ষার্থী কমছে। বর্তমানে সপ্তম শ্রেণিতে ২৪, অষ্টম শ্রেণিতে ৪১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক আছেন ১০ জন।

কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানে ৫৫৯ জন শিক্ষার্থী পড়ছে। শ্রেণিকক্ষসংকট আছে। মেয়েদের জন্য পৃথক বাথরুম ও কমনরুমের দরকার। কিন্তু ব্যবস্থা করতে পারছেন না।

হরিণাকুন্ডু উপজেলার হামিরহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনছার আলী বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। তাহলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর সুফল পাওয়া যাবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, শিক্ষকসংকট অনেকটা কমে এসেছে। অল্পদিনে আরও কমে যাবে। ওই স্কুলগুলোতে নতুন ভবন এবং মেয়েদের জন্য পৃথক বাথরুমের বিষয়টি তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।

ঝিনাইদহে এবার প্রশ্নবিদ্ধ শিক্ষক নিয়োগ !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
এমপিও ভূক্ত প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় ভাবে নিয়োগে অবৈধ অর্থের লেনদেন ঠেকাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এক প্রকার ঢাকঢোল পিটিয়ে সারা দেশে এনটিআরসিএ নিবন্ধিতদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সদ্য বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় নিয়োগ দেয়া হয়। সর্বোচ্চ নম্বর ও এলাকার প্রার্থীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এ নিয়োগ দেয়ার কথা শোনা গেলেও নিয়োগ দেয়ার পর এ নিয়োগ প্রশ্ন বিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অনুসন্ধান সুত্রে দেখাগেছে, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক স্তরে বাংলা, সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান ও সহকারী মৌলভী পদে ৭ জনকে নিয়োগ পত্র দেয় এনটিসিআরএ। এর মধ্যে শোয়াইব নগর ফাজিল মাদরাসায় সহকারী মৌলভী পদে ২ জন এবং জিকে ইউনাইটেট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাংলায় এক জনকে নিয়োগ দেয়া হয়।

যারা অন্যদের তুলনায় অনেক নম্বর কম পেয়েও নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন। শোয়াইব নগর ফাজিল মাদরাসায় সহকারী মৌলভী পদে ১০তম নিবন্ধন ও ৫তম নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করা মেহনাজ খাতুন (রোল নং ৩১৪২৮২৮৫) ও আসমা খাতুন (রোল নং ৩১৯১৫৪৮২) নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪১ ও ৪৭।

অন্যদিকে একই পদে একই উপজেলার মাসুদুর রহমান (রোল নং-৩১৪২৭৭৭৩) ১০তম নিবন্ধন পরীক্ষায় ৬৬ নম্বর পেয়েও শোয়াইব নগর ফাজিল মাদরাসায় নিয়োগ পায়নি। ১০তম নিবন্ধন পরীক্ষায় আব্দুল কাদের (রোল নং ৩১৪২৭২৮৮) ৬৩.৫০ নম্বর পেয়ে সহকারী মৌলভী পদে শোয়াইব নগর ফাজিল মাদরাসায় আবেদন করা সত্বেও তিনি নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছেন।

জি কে ইউনাইটেট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শামিম আক্তার (রোল নং ৩০১০৫৭২৩) দশম নিবন্ধনে ৫৬ নম্বর পেয়ে বাংলার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে আসমা খাতুন ১২তম নিবন্ধনে বাংলায় ৫৮ নম্বর পেয়ে একই বিষয়ে একই প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেও তার নিয়োগ হয়নি। নবম নিবন্ধন পরীক্ষায় বাংলায় ৫৯ নম্বর পেয়ে একই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পায়নি সালমা খাতুন নামের অপর একজন।

মাসুদুর রহমান নামের একজন প্রার্থী বলেন, বেশি নম্বর পেয়েও তার মত অনেকেই নিয়োগ পায়নি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, শুধুমাত্র অবৈধ লেনদেনের স্থান ও পাত্র পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু মেধা ও যোগ্যতার কোন মূল্যায়ন হয়নি।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম কামরুজ্জামান জানান, যারা বেশি নম্বর পেয়েছে তাদেরই চাকুরী পাওয়ার কথা। কিন্তু মনে হয় কর্তৃপক্ষ যাদের বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে তাদের আগে নিয়োগ দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, নিয়োগটি সঠিক হয়েছে। কারন একজন ৩/৪ জায়গায় নিয়োগও পেয়েছেন। যারা এত জায়গায় নিয়োগ পেয়েছে তারা তো সব জায়গায় চাকুরী করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে ওই সকল প্রতিষ্ঠানে আবেদন কারীদের মধ্যে থেকে পর্যায় ক্রমে নিয়োগ প্রদান করা হতে পারে বলে মন্তব্য করেন।

ঝিনাইদহে ছেলের নির্যাতনে থানায় মা !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
বাবা-মা সন্তানদের উপর ভরসা করে শেষ বয়সে একটু আরাম আয়েশে থাকতে চায়। কিন্তু সেই সন্তান যখন মাদকাসক্ত হয়ে পিতা-মাতার উপর নির্যাতন চালায় তখন তাদের স্বপ্নে ভাঙন ধরে। সন্তানের জন্য সারাক্ষণ দুঃচিন্তায় থাকতে হয় তাদের। নেশাগ্রস্ত সন্তানের নির্যাতন সইতে না পেরে বাবা-মা অতিষ্ঠ হয়ে কখনো পুলিশের আশ্রয় নেয়। কেউ বা সন্তানকে নেশার পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

মহেশপুর উপজেলার রূপদাহ গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী আমেনা বেগম নেশাগ্রস্থ ছেলে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ রবিউলকে ধরতে অভিযান চালায়। কিন্তু পুলিশ তাকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

অভিযোগে মা আমেন বেগম (৬০) জানান, মাত্র ২ মাস আগে তার স্বামী আব্দুর রাজ্জাক মারা যায়। এরপর থেকে নেশার টাকা জোগাড় করতে স্বামীর রেখে যাওয়া একমাত্র বসত ভিটা বিক্রির জন্য মা’কে শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতন করে আসছে রবিউল।

নির্যাতন সইতে না পেরে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানায় অভিযোগ করেন তিনি। বড় মেয়েটি স্বামীর সাথে ঢাকাতে বসবাস করছে। অন্য মেয়েটি প্রতিবন্ধী, তাকে নিয়ে স্বামীর ভিটাতে খেয়ে না খেয়ে কোনরকম দিন কাটছে তার।

থানায় অভিযোগ ও পুলিশ ধরতে যাওয়ার খবরে রবিউল তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। নেশাগ্রস্ত ছেলের নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে তিনি প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *