গাইবান্ধার খবর

Slider গ্রাম বাংলা

4-4

গাইবান্ধায় নদীগর্ভে স্কুলভবন, চেয়ারম্যানের বাড়িতে পাঠদান
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের কবলে পড়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের গোঘাট গ্রামে কলমু এফএমসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখন বিলীন হওয়ার পথে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ঠাঁই হয়েছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যানের ঘরের বারান্দায়।

সম্প্রতি বিদ্যালয় ভবনটি ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের শিকার হওয়ায় অস্থায়ীভাবে সেখানে পাঠদান করা হচ্ছে বলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল মমিন খান জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ওই বিদ্যালয়ে প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী লেখাপড়া করছিল। কিন্তু ভবনটি ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের কবলে পড়ায় তাদের লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বছরের শেষ সময়ে এ পরিস্থিতিতে ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সোলায়মান আলীর বাড়িতে পাঠদানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

তিনি আরো জানান, আপাতত: এই চেয়ারম্যানের বাড়িতেই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া অব্যাহত থাকবে। পানি শুকিয়ে গেলে বিদ্যালয় ভবনটি রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ করে সুষ্ঠু লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরে আনার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সাবেক চেয়ারম্যান সোলায়মান আলী জানান, ভাঙনের শিকার বিদ্যালয় থেকে প্রায় আড়াইশ ফুট দূরে তার বাড়ি। বিদ্যালয় ভবনটি ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের কবলে পড়ে পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়। তাই শিশুদের কথা বিবেচনা করে তার ঘরের বারান্দায় লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এ ছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য বাড়ির টয়লেট ব্যবহারের ব্যবস্থাও করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম চেয়ারম্যানের বাড়ির ঘরের বারান্দায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন। সেখানে চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চ বসানোর পরিবেশ নেই। তাই শিক্ষার্থীদের চটের উপর গোল করে বসিয়ে পাঠদান করা হচ্ছে।
ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সালমা খাতুন জানায়, সে ভেবেছিল বিদ্যালয় ভবনটি ব্রহ্মপুত্র নদে ভেঙে যাওয়ায় তার লেখাপড়া বুঝি বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু এখন অস্থায়ীভাবে হলেও চেয়ারম্যানের বাড়িতে পুনরায় লেখাপড়া চালু হওয়ায় সে খুব খুশি।
ওই ছাত্রীর বাবা আব্দুস সাত্তার জানান, পিএসসি পরীক্ষার আগেই বিকল্প ব্যবস্থায় লেখাপড়া চালু হওয়ায় এখন শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে পারবে। এতে করে শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের চিন্তা কিছুটা হলেও কমেছে।

গোবিন্দগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী পালিত

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে কেক কর্তন,আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে কেক কর্তন ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান।

এ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম আজাদ,জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইনতাজ আলী,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক প্রধান আতাউর রহমান বাবলু,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান মন্ডল,বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম পান্না,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ,আব্দুল মমিন,বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহবায়ক মো.জাওয়াদ প্রধান,যুগ্ন:আহবায়ক শামীম মুন্সি,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতা রোমান।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুসহ সকল বীর শহীদদের স্মরনে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

পলাশবাড়ীর বরিশালে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নে পৃথক পৃথকভাবে জুনদহ উচ্চ বিদ্যালয় ও বরিশাল উচ্চ বিদ্যালয়ে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের উপর এক সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জুনদহ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার ওয়াশ ইনস্কুল প্রজেক্ট, এসকেএস ফাউন্ডেশন ও ওয়াটার এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে ওয়াশ ইনস্কুল প্রজেক্ট ম্যানেজার আব্দুর রউফ।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.এন.এম কামরুল আহসান, সহকারী প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, কাকলী পারভীন, ওয়াশ ইনস্কুল প্রজেক্টের টেকনিক্যাল অফিসার আলম মিয়া, ওয়াশ প্রমোশন অফিসার সুলতানা বাহার প্রমুখ।
অপরদিকে বরিশাল উচ্চ বিদ্যালয়েও এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তব্য রাখেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ-উজ-জামান সরকার ওয়াশ ইনস্কুল প্রজেক্টের টেকনিক্যাল অফিসার মনিটরিং আরিফা নাছরিন ও ওয়াশ প্রমোশন অফিসার রুমা খাতুন।
শেষে শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়া দিবসের উপর হাত ধোয়ার গুরুত্বসহ তার প্রয়োজনীয়তা, কুইজ প্রতিযোগিতা, ধাত ধোয়া প্রদর্শন, আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

গাইবান্ধায় সংখ্যালঘু পরিবারের বসতবাড়িতে হামলা

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধা জেলা শহর সংলগ্ন মধ্য ধানঘড়ার সংখ্যালঘু সুজন চন্দ্র পরিবারের বসতবাড়িতে, হামলা, ভাংচুর ও গরুর মাংসের খিচুরীর উচ্ছিষ্ট ফেলে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় সুজন চন্দ্রের পিতা শুকরু চন্দ্র রায় ও ছোট ভাই নয়ন চন্দ্র রায় গুরুতর আহত অবস্থায় এখন সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এব্যাপারে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, একই এলাকার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত মেহেদুল ইসলাম তার স্ত্রী পাপড়ি বেগম, খাজা মিয়া ও রাশেদ মিয়াসহ সহযোগি সঙ্গীরা গত সোমবার পরিকল্পতভাবে হামলাসহ এই অপকর্ম করে বলে গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে অভিযোগ দায়েরের তিনদিন অতিক্রান্ত হলেও অজ্ঞাত কারণে এখন পর্যন্ত থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়নি বা আসামিদের গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানা গেছে।

ফলে ওই আসামিসহ সহযোগি সন্ত্রাসীরা অসহায় সংখ্যালঘু পরিবারটিকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ ও হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দায়েরসহ নানাভাবে হুমকি প্রদান করছে।

উল্লেখ্য ওই মেহেদুল ইসলাম ও তার লোকজন সংখ্যালঘু পরিবারের সংলগ্ন জমি ও বসতবাড়িতে জোরপূর্বক নির্মাণ সামগ্রী রেখে এবং নির্মাণের বিভিন্ন উপকরণ ফেলে দীর্ঘদিন যাবত হয়রানি করে আসছিল।
ঘটনার দিন বাড়ির পাশেই ছাদ ঢালাই করার শ্রমিকদের গরুর মাংস দিয়ে খিচুরী রান্না করে খাওয়া দাওয়া করে এবং ওই সমস্ত উচ্ছিষ্ট পানি ও বর্জ্য সুজন চন্দ্রের বাড়িতে ফেলে রাখে।

এব্যাপারে সুজন চন্দ্রের পিতা শুকরু চন্দ্র রায় ও তার ছোট ভাই নয়ন চন্দ্র প্রতিবাদ জানালে লাঠিসোটা নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় তাদের উপর হামলা করে বেধরক মারপিট এবং বসতবাড়ি ভাংচুর, ঘরে ঢুকে নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং লক্ষাধিক টাকার ঘরের দরজা, জানালা, টিনের বেড়া ক্ষতিগ্রস্ত করে।

রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র বন্ধের দাবীতে গাইবান্ধায় সাইকেল র‌্যালী
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধায় রামপালে বিদুৎ কেন্দ্র বন্ধের দাবিতে সাইকেলর্ র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধায় শহরে গাইবান্ধা প্রেস ক্লাব সামনে জমায়েত হয়ে শিল্পকলা একাডেমী সামন থেকে সাইকেলর্ র্যালীটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলি প্রদক্ষিন করে। সাইকেল র‌্যালিটি বেড় করা হয় সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের পক্ষ থেকে।
র‌্যালীর উদ্বোধন করেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির জেলা সদস্য আহসানুল হাবীব সাঈদ।
র‌্যালী পূর্ব এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, কেন্দ্রীয় সংগঠক মিজানুর রহমান, সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনের উদ্যোক্তা মাহবুব আলম মিলন, শাহীন আলম, ছাত্রফ্রন্ট জেলা সভাপতি শামিম আরা মিনা, সাধারণ সম্পাদক পরমানন্দ দাস প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, অবিলম্বে সুন্দরবন রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলের জোর দাবি জানান। সেইসাথে দেশের সকল বিবেকবান মানুষকে জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

সুন্দরগঞ্জে ৩ ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর জরিমানা
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১১ নম্বর হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুল আলম এ জরিমানার টাকা আদায় করেন।
অর্থদণ্ড প্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- আব্দুর রশিদ মিয়া (প্রতীক: নৌকা), রফিকুল ইসলাম রঞ্জু (প্রতীক: লাঙ্গল) ও আসাদুজ্জামান (প্রতীক: ঘোড়া)।
ইউএনও হাবিবুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দেয়ালে পোস্টার সাঁটানানো ও আইন ভেঙে জনসভা করায় তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এই ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৪ হাজার ৩৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় হাজার ৯৯৭ ও নারী ভোটার সাত হাজার ৩৯১ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *