বিশ্বব্যাংক আরো জোরালো ভূমিকা রাখবে

Slider অর্থ ও বাণিজ্য টপ নিউজ সারাদেশ

36279_f1

 

ঢাকা; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরো জোরদার করার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, দেশের উন্নয়ন প্রয়াসে আমাদের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক জোরালো ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের দারিদ্র্যবিমোচনে সাফল্যে বিশ্বব্যাংকের স্বীকৃতি বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনকে আরো বেগবান করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সফররত বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সংস্থাটির ঋণ সহায়তা আরো বাড়ানো হবে। বাংলাদেশের দারিদ্র্য জয়ের অভিজ্ঞতা অন্যদের এক্ষেত্রে পথ দেখাবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। গতকাল সফরের প্রথম দিনে কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এমন মত দেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যবিমোচন দিবস উদ?যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের সঙ্গে বিদ্যমান অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে আরো শক্তিশালী হবে। বিশ্বব্যাংক আমাদের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। আমাদের এই প্রয়াসে বিশ্বব্যাংক আরো জোরালো ভূমিকা রাখবে- এ প্রত্যাশা করছি। তিনি বলেন, আমাদের সমস্ত উন্নয়ন পরিকল্পনা, “রূপকল্প-২০২১” এবং “রূপকল্প-২০৪১” জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্য-অশিক্ষা এবং বঞ্চনামুক্ত ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রণীত। বাংলাদেশকে অমিত সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মানুষ অত্যন্ত সাহসী, দৃঢ়চেতা ও পরিশ্রমী। নিজেদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমরা দৃঢ়প্রত্যয়ী। তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে মানব-উন্নয়ন সূচকে মধ্যম ক্যাটাগরির দেশ এবং মাথাপিছু আয় বিবেচনায় নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা শিগগিরই স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটাগরি থেকে বেরিয়ে আসবো এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন ফোরামে বহুবার উল্লেখ করেছি যে, বিশ্ব আজ সন্ত্রাস এবং সহিংস জঙ্গিবাদ নামক দুটি অন্যতম চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। যেকোনো ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। দেশের জঙ্গিবাদ দমনে আমরা সক্ষম হয়েছি। জঙ্গিবাদের অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ভবিষ্যতে জঙ্গিবাদ দমন কার্যক্রমকেও আরো শানিত করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে জাতীয় আয়ের গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৪ শতাংশ, যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে ৭.০৫ শতাংশে, মূলত ৭.১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার ছিল ২৮৫ বিলিয়ন টাকা, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৩৩.৪৫ বিলিয়ন টাকা। বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পল রোমার অনুষ্ঠানে বলেন, এমনিতে অর্থনীতিতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ‘খুব বেশি জরুরি না হলেও’ বাংলাদেশের মতো দেশের পরিস্থিতি তেমন নয়। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে রোমার শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দেয়ার পাশাপাশি মনে করিয়ে দেন, শিক্ষার মানটাই হলো আসল। সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠার মধ?্য দিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, এর কোনো বিকল্প নেই। দারিদ্র্যবিমোচনে দ্রুত উদ্যোগী হওয়ার তাগিদ দিয়ে রোমার বলেন, এক্ষেত্রে একদিনের বিলম্বও অনেক ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্যবিমোচনে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে সাফল্যের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। দারিদ্র্যবিমোচনে বৈশ্বিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, মাত্র এক বছরের মধ্যে পৃথিবীতে ১০ কোটি মানুষকে অতিদরিদ্র্য থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনকে ‘চমৎকার’ হিসেবে বর্ণনা করে কিম বলেন, এই অভিজ্ঞতা অন?্য দেশের মধ্যেও ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করছেন। বিশ্বব্যাংক প্রধান বলেন, দারিদ্র্যবিমোচনের জন্য উদ্ভাবনী ধারণা প্রবর্তন যে খুবই জরুরি, তা বাংলাদেশ খুবই দ্রুত অনুধাবন করতে পেরেছে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নারী স্বাস্থ্যকর্মীদের দল গড়ে তুলে বাংলাদেশে ডায়রিয়ার মতো রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার কথা স্মরণ করেন কিম। তিনি বলেন, জনগণের পেছনে বিনিয়োগ করা ঠিক ততটাই জরুরি, যতটা জরুরি অবকাঠামো ক্ষেত্রের বিনিয়োগ। অনেক চ?্যালেঞ্জের মধ্যেও সেই বিনিয়োগ সম্ভব হয়েছে বলে তিনি মন্তব?্য করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সফররত বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন বক্তৃতা করেন। বিশ্বব্যাংকের চিফ ইকোনমিস্ট পল রোমার অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মেজবাহ উদ্দীন অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ঋণ সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি: এদিকে বাংলাদেশের জন্য ঋণ সহায়তা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। গতকাল সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিতের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশ্বাস দেন কিম। বলেন, আগামীতে এই ঋণ সহায়তা ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে। বৈঠকে কিমের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংকের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আরো ছিলেন সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন, বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ পল রোমার এবং ঢাকার আবাসিক প্রতিনিধি চিমিয়াও ফান। অন্যদিকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন।
জিম ইয়ং কিম তার বক্তব্যের শুরুতেই বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, দারিদ্র্যবিমোচনে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে। সেটি সেলিব্রেট করতেই আমি বাংলাদেশে এসেছি। দারিদ্র্যবিমোচনে সাফল্যের জন্যই এবার ‘বিশ্ব দারিদ্র্যমুক্ত দিবস’ বাংলাদেশে পালন করছি। কিম বলেন, বিশ্বব্যাংক বিভিন্ন দেশে ঋণ সহায়তা ৫০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার অংশ হিসেবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তাও ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে। এর পাশাপাশি শিশু অপুষ্টি দূর করতে বাংলাদেশকে আগামী দুই বছরে বাড়তি ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে কিম বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ ৬ শতাংশের বেশি হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে; এখন তা ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা হবে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার অন?্যতম ফোকাস।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বাংলাদেশের যোগাযোগসহ সব খাতেই বিশ্বব্যাংক সহায়তা দিয়ে থাকে। পদ্মা সেতুতে যে তহবিল বিশ্বব্যাংকের দেয়ার কথা ছিল, তারা অন্য প্রকল্পে সেটি দিয়েছে। এর মাধ্যমে বিষয়টির সমন্বয় হয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যে ‘জটিলতা’ ছিল, তা কেটে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মুহিত বলেন, বিশ্বব্যাংকের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা। আশা করছি তারা সে প্রত্যাশা পূরণ করবে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রেসিডেন্ট আমাদের আরো বেশি সুবিধা দেবেন- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে ‘বিশ্ব দারিদ্র্যবিমোচন দিবস’ পালন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৃষ্টান্ত হিসেবে মেলে ধরবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গেই আছি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আজ সকালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শনের জন্য বরিশাল যাবেন কিম। ফিরে এসে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। বিকালে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিদায় নেবেন তিনি। এদিকে গতকাল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব দারিদ্র্যমুক্ত দিবস উপলক্ষে বিশ্বব্যাংক ও অর্থনৈতিক সম্পক বিভাগ (ইআরডি) যৌথ উদ্যোগে একটি প্যানেল ডিসকাশনের আয়োজন করা হয়। এতে ভারতের সাংবাদিক শিরিন ভানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও লিড ইকোনমিস্ট পল রোমার, একশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, নারী উদ্যোক্তা রুবানা হক। দশক গ্যালারিতে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমসহ বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল। আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশকে মানবসম্পদ উন্নয়নে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করতে হবে। দারিদ্র্যবিমোচন ও বিনিয়োগ এখন সরকারের মূল এজেন্ডা। অতি দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশ ভালো করেছে, তবে আরো ভালো করার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে জোর দেয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্যানেল ডিসকাশনে এ বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য নিরসন ও বিনিয়োগ আমাদের মূল টার্গেট। মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ আরো বাড়ানো হচ্ছে।  পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গ্রাম ভিত্তিক উন্নয়নে সরকার ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে। এজন্য দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা মোতাবেক এগুচ্ছে সরকার। এর ফলেই দারিদ্র্য হার দ্রুত কমে আসছে। আরো কমে আসবে। বাংলাদেশ ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিকে যাচ্ছে। এখন আমরা ৭.০৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।
আলোচনায় নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলেন শিরীন শারমিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নারীরা প্রতিনিধিত্ব করছে। নিারী শিক্ষার হার বেড়েছে। এক সময় নারী শিক্ষার্থীর হার কম ছিল। এখর নারী-পুরুষ রেশিও প্রায় সমান সমান।
পল রোমার বলেন, মানবসম্পদে বিনিয়োগ করে দারিদ্র্যের হার দ্রুত কমিয়ে আনা সম্ভব। তিনি বলেন, এক সময় দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার ক্ষমতা ছিল না। তাদের আর্থিক সক্ষমতা ছিল না। এখন তারা কোথায় উঠে গেছে। মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে তারা এই পর্যায়ে উঠে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *