আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে ভাসানটেক এলাকায় বনানী ওল্ড ডিওএইচএসের ২ নম্বর সড়কের ৫৩/এ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে আলী হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আলী হোসেনের ভায়রা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রায় সাত-আট বছর আগে ইডেন কলেজের শিক্ষকতা থেকে অবসর নেন আলী হোসেন। এরপর একটি গৃহনির্মাণ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করতেন। ওই প্রতিষ্ঠানটি বনানীর একটি প্লটে বহুতল ভবন নির্মাণ করছিল। বেশি রাত হলে আলী হোসেন নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলায় অফিসে নিজের কক্ষে থেকে যেতেন। সোমবার দিবাগত রাতে তিনি মিরপুর ১০ নম্বরের নিজ বাড়িতে ফিরে যাননি। আজ সকালে বনানীর নির্মাণাধীন ভবনের তত্ত্বাবধায়কেরা অফিসের কক্ষে আলী হোসেনের মরদেহ দেখতে পেয়ে পরিবারকে জানান। মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আলী হোসেনের পরিবার মামলা করবে।
ভাসানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আলী হোসেনকে হাত-পা বেঁধে বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এর সঙ্গে ওই ভবনের লোকজন জড়িত রয়েছেন। পালিয়ে গেলেও তাঁদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নাম এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে সেলিম মিয়া নামে ভবনের একজন তত্ত্বাবধায়ককে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য আলী হোসেনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।