কেবল অস্ত্রে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন হবে না

Slider সারাদেশ

257764e51557f4b57e9d3b6c2a9a4569-3111111

ঢাকা; কেবল অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেছেন।
এ সম্পর্কিত মো. আবদুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু কেবল অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করা যাবে না। এ জন্য সামাজিক শক্তির উদ্যোগে মানুষের মনোজগতে পরিবর্তন আনতে হবে। এ বিষয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের যুবসমাজকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত রাখতে ক্রীড়া পরিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলগুলোকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হবে।
প্রশ্নোত্তরের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল পাঁচটার পর সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
সম্পূরক প্রশ্নে মীর শওকাত আলী বাদশা বলেন, সরকারি অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে চাল বিতরণ করেছে। কিন্তু তড়িঘড়ি তালিকা করায় অনেক দরিদ্রের নাম বাদ পড়েছে। বাদ পড়া ব্যক্তিদের জন্য নতুন করে চাল বরাদ্দ করা হবে কি না? চাল বিতরণের ক্ষেত্রে কিছুটা অনিয়ম হয়েছে বলেও এই সাংসদ দাবি করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হতদরিদ্র মানুষের তালিকা জনপ্রতিনিধিরা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা যাঁরা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাঁদেরও অনুরোধ করব, তাঁরা যেন অনিয়ম খতিয়ে দেখেন। যাঁরা সচ্ছল, কিনে খাওয়ার যোগ্যতা রাখেন, তাঁরা এটা পাবেন না। যাঁদের খাদ্য কেনার সামর্থ্য নেই, তাঁদের তালিকাভুক্ত করতে হবে। তারপরেও যদি কেউ অনিয়ম করে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা ডিলার আছে, তাদের ডিলারশিপ বাতিল করে দেওয়া হবে। অনিয়ম করলে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব।

সব মেডিকেল হাসপাতালে কার্ডিয়াক বিভাগ হবে
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, সরকার পর্যায়ক্রমে দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যাথল্যাব স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। জেলা সদর হাসপাতালে পর্যায়ক্রমে করোনারি কেয়ার ইউনিট এবং সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ চালু করা হবে।

মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৫ সালে চরম দারিদ্র্যের হার ছিল ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২০ সালের মধ্যে এই হার ৮ দশমিক ৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। একই সময়ের মধ্যে রপ্তানি আয় ৩০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫৪ দশমিক ১ শতাংশ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ৪০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৭২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে।

২০২০ সালে বিদ্যুৎ এলাকা ৯৬ শতাংশে উন্নীত হবে
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন ২৩ হাজার মেগাওয়াট এবং বিদ্যুৎ এলাকার বিস্তৃতি ৯৬ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এ ছাড়া বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে।

ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ববাজারে মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩৪ দশমিক ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।

মামুনুর রসিদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী সাত বছরের বেশি বয়সীদের সাক্ষরতার হার ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের হার ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ। হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করা হলে এর হার ৭০ শতাংশের বেশি হবে।
আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, পায়রা সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কাজ ২০১৬ সাল নাগাদ শেষ হবে। তবে তিনটি জেটি নির্মাণের কাজ ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *