ঝালকাঠি’র রাজাপুরে অভিনব উপায়ে টাকা ছিনতাই  

Slider বরিশাল সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী
th
ঝালকাঠি থেকে প্রাণকৃষ্ণ বিশ্বাস প্রান্ত :  এক ভদ্রবেশী অসাধু ব্যক্তি এক অসহায় মাছ বিক্রেতার ৩০০০/-(তিন হাজার টাকা) মূল্যমানের মাছ ও তার পকেটে থাকা কষ্টার্জিত নগদ ২৫০০/-(পঁচিশ শত) টাকা নিয়ে মূহুর্তের মধ্যে মোটর সাইকেল যোগে উধাও হয়ে যায় এই প্রতারক।
২৮ আগস্ট রোববার সকাল ১০টা ৩০মিনিটের দিকে ওই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরন থেকে জানা যায় জনৈক মাছ ব্যবসায়ী মাছ বিক্রি করতে আসলে ভদ্রবেশী হুন্ডাচালক হুন্ডা থামিয়ে মাছ ওয়ালার সাথে দাম নিয়ে দরকষাকষির এক পর্যায়ে কাছের হরি মন্দিরে চলমান মন্দির ভিত্তিক স্কুলে তার নিজের সন্তান পড়ালেখা করে তা মাছ ব্যবসায়ীকে বুঝাতে সমর্থ করতে সে ঐ মন্দিরে প্রবেশ করে।অপরিচিত ঐ লোকটা মন্দিরে চলমান বিদ্যালয়ে ছোট শিশুদের নিয়ে উপস্থিত মহিলাদের কাছে নিজেকে রাজাপুর সোনালী ব্যাংকের সেকেন্ড অফিসার বলে পরিচয় প্রদান করে।
স্কুল শিক্ষিকার নিকট তার ছেলেকে ভর্তির বিষয় নিয়ে ভর্তির নাটক করে তাদের সাথে বেশ খানিকটা সময় অতিবাহিত করে। এইবার প্রতারক ঐ মাছ ব্যবসায়ীর সবগুলো মাছ নিয়ে বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রবেশ করে এবং উপস্থিত মহিলাদের জানায় সে মাছগুলো ৩০০০/- টাকায় কিনতে যাচ্ছে এতে তার ঠকা হবে কিনা। মহিলারাও জানায় মাছগুলো খুব তাজা কাজেই এটা নিতে পারেন,প্রতারক মাছ ব্যবসায়ীর নিকট যেতে যেতে বলে এ মাছের দাম ৫ হাজার টাকা বললেও সে নিত এভাবে তার অর্থশালী মনোভাবের পরিচয় দিতে সচেষ্ট হয়। এরপর চলে তার আর এক নাটক, সে ব্যবসায়ী কে জিজ্ঞাসা করে এ মূহুর্তে তার (ব্যবসায়ীর) নিকট কোন টাকা আছে কিনা। ব্যবসায়ী জানায় তার কাছে ২৫০০/- টাকা আছে। এ পর্যায়ে প্রতারক বলে আমার বোন মেইন রোডে দাঁড়িয়ে আছে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা নেবে যদি কিছু মনে না করেন তাহলে এ টাকাটা আমাকে কিছু সময়ের জন্য দিন আমি আমার বোনকে এটা দিয়ে আমার বাসায় মাছগুলো রেখে আসি এবং আপনার মাছের দাম সহ আপনার কাছ থেকে ধার নেয়া টাকাটাও নিয়ে আসি। ঐ যে তিন তলা বিল্ডিং টা দেখতে পাচ্ছেন ওটা আমার বাসা আমি একটানে যাব আর আসব। ঐ যে বৌদিরা আছে তারা সবাই তাকে চিনে বলে দ্বিতীয় বার উল্লেখ করলেন ঐ ভন্ড। সরল ব্যবসায়ী ভণ্ডকে বিশ্বাস করে ঐ ২৫০০/-টাকা ও মাছগুলো দিয়ে দিল। প্রতারক হুন্ডায় করে বাসায় গেল কিন্তু একঘণ্টার মধ্যেও ফিরে না এলে ব্যবসায়ী ভন্ডের বৌদিদের কাছে গিয়ে তাদের দেবরের বাসার খোঁজ জানতে চায়।কিন্তু বৌদিরা তাকে কোনদিন দেখেইনি চেনা তো দূরের কথা বলে তাকে জানায়। বৌদিদের কাছে তখন তার দু:খের কথা প্রকাশ করতে করতে অঝোর ধারায় কেদে ফেলে।
এ ঘটনার পর থেকে মন্দিরে আতংক বিরাজ করতে থাকে এবং মূহুর্তের মধ্যে বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দেয়া হয়।কেউ কেউ এটাকে অপহরণ কারীদের আলামত হিসেবে ও উল্লেখ করতে থাকে।এতে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সহ বেশ ভিতীকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।এদিকে গরীব মাছ ব্যবসায়ীর কান্না চলছে অবিরাম। কে দিবে তার চোখের জলের দাম? স্থানীয় প্রশাসন নাকি সরকার নাকি সচেতন এলাকাবাসী?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *