বিয়ের মাধ্যমে প্রতারণা।সিলেটে লন্ডনি কইন্যার নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা

Slider গ্রাম বাংলা নারী ও শিশু

26638_b5

 

বিয়ের নামে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সিলেটে এক লন্ডনি কইন্যা ও অন্য এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার বিকালে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মো. গোলজার হোসেন এই পরোয়ানা জারি করেন। এরা হচ্ছে- বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার নদলা এলাকার কাঞ্চনপুরের অধিবাসী বর্তমানে নগরীর মানিকপীর এলাকার লন্ডনপ্রবাসী আব্দুল হান্নানের স্ত্রী প্রবাসী রূপসী নাহার চন্দা ও সিলেটের গোয়াইনঘাটের মনাইকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল গফুর। ২০১০ সালে চন্দার পিতা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ইউনুছ আলী ও তার সহযোগীরা মেয়ে বিয়ের নামে সিলেটের বিভিন্ন যুবকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতারণার শিকার যুবকদের মধ্যে ছাতকের শিবনগরের মহিম উদ্দিন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন। এরমধ্যে গত ৭ই জানুয়ারি মেট্রোপলিটন আদালতে চন্দা ও তার পিতা ইউনুছ, ভাই আরাফাত ও মধ্যস্থতাকারী গফুরকে আসামি করে মামলা (সিআর ৩৩/১৬) দায়ের করেন। ওই মামলায় দুইজন জামিনে থাকলেও মঙ্গলবার অপর দুইজন চন্দা ও গফুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। চন্দা বর্তমানে লন্ডনের ম্যানচেস্টার এলাকায় বসবাস করছেন। প্রতারণার শিকার হওয়া লোকজন জানিয়েছেন, ইউনুছ আলী পুলিশে চাকরি করার সুবাদে দীর্ঘদিন থেকে পরিবার নিয়ে সিলেট নগরীতে বসবাস করছেন। বর্তমানে তিনি পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত নেই। ইউনুছ আলী ১০/১২ বছর আগে সিলেটের আব্দুল হান্নান নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে দেন। ২০০১ সালে চন্দা যুুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। মাঝে মধ্যে দেশে আসতেন। ২০১০ ও ২০১১ সালে তিনি মেয়েকে নিয়ে প্রতারণা করেন। ওই সময় সিলেটের একাধিক যুবকের কাছ থেকে মেয়ে বিয়ে দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এরমধ্যে মহিম উদ্দিন একজন। ২০১০ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ছাতকের শিবনগর গ্রামের মহিম উদ্দিনের সঙ্গে চন্দার বিয়ে দেন পিতা ইউসুছ আলী। বিয়ের নামে তিনি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন। কয়েক মাস পর ইউনুছ আলীর প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে বিচারপ্রার্থী হন নগরীর ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর। তিনি উভয়পক্ষকে ডেকে আনেন। এক পর্যায়ে মহিমকে সাড়ে ৭ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন ইউনুছ। যদিও পরবর্তীতে চেকটি ডিজঅনার হয়। টাকা উদ্ধার না করতে পেরে এরই মধ্যে গত ৭ই জানুয়ারি মেট্রোপলিটন আদালতে চন্দা ও তার পিতা ইউনুছ, ভাই আরাফাত ও মধ্যস্থতাকারী গফুরকে আসামি করে প্রতারণার মামলা (সিআর ৩৩/১৬) দায়ের করেন। সেই মামলায় চন্দা ও গফুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *