সিসিটিভি’র ফুটেজের সেই নারী নরসিংদীর রুমা

Slider জাতীয়

23824_b66

 

 রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রুমা আক্তার (৩২) নামে এক নারীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের চরখুপি গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। হলি আর্টিজানের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজে চিহ্নিত করা সন্দেহজাজন সেই নারীই হলো রুমা আক্তার। বিষয়টি নিশ্চিত করে রুমার পরিবার দাবি করেছেন, রুমা মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে রুমাকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করেনি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রুমার পরিবারের
লোকজন জানান, গুলশানে জঙ্গি হামলায় জড়িত সন্দেহে গত বুধবার গভীর রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের চরখুপি গ্রামের বোনের বাড়ি থেকে রুমা আক্তারকে আটক করে। রুমা আক্তার সম্পর্কে তারা জানান, রুমার দুই বিয়ে হলেও বর্তমানে তিনি স্বামী পরিত্যক্তা। শ্রাবণ নামে তার এক ছেলে রয়েছে। ছেলেটি তার বাবার সঙ্গে থাকে।
গত বছরের ১৬ই ডিসেম্বর দুবাইতে গৃহপরিচারিকার ভিসায় গেলেও তিন মাস পরে ফিরে আসে রুমা। তারপর থেকে ঢাকার বাড্ডা নতুন বাজার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি। তিনি ঢাকায় বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে কাজ করতেন বলে দাবি করেছে তার স্বজনরা।
তার বড় বোন সাবিনা আক্তার বলেন, রুমা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। প্রায়ই মানসিকভাবে অসুস্থ থাকে। ধর্ম নিয়ে তার তেমন আগ্রহ আমাদের চোখে পড়েনি। ঘটনার সময় ঘোরাঘুরি করেছে, সিসি ক্যামেরাই পড়ে গেছে। রুমা এতে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। গুলশানের ঘটনায় নিজের মেয়ে গ্রেপ্তার হওয়ায় বিব্রত রুমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন বুদু মিয়া। তবে রুমা জঙ্গি হামলার ঘটনায় জড়িত না বলে মনে করেন তিনি।
এলাকাবাসী জানান, স্বামীর সংসার হারানোর পর থেকে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন রুমা। ইতিমধ্যে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছেন তিনি। সুলতানপুর গ্রামের বাবুল মিয়া বলেন, স্বাভাবিকভাবে ভাল চলাচল করলেও মাঝে মধ্যেই নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতেন রুমা। রুমা আক্তার পার্শ্ববর্তী পলাশ উপজেলার চরসিন্ধুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন বুদু মিয়ার ছোট মেয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *