মো. পলাশ প্রধান, টঙ্গী (গাজীপুর) থেকে: গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় ১১ আসামির খালাসে হাইকোর্টের আদেশ আপিল বিভাগ কর্তৃক ‘নো অর্ডার’ রায় ঘোষণার প্রতিবাদে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-সিলেট সড়ক ও টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনে অবরোধ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জনায়, রায় ঘোষণার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্থানীয় জনতা কলেজ গেট, চেরাগআলী, মিলগেট, স্টেশন রোড, টঙ্গী বাজার ও টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় বেলা একটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ও টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনে পরিত্যক্ত টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও অবরোধ করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রজব আলী, টঙ্গী থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ আলম, মো. খোরশেদ আলম, মো. সোহেল মাতাব্বর, গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন খাঁন মিঠু, টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. কাজী মনজুর, সাধারন সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. কানন মোল্লা, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. বেলায়েত হোসেন, মো. কবির শাহ্, পূবাইল সাংগঠনিক থানার ছাত্রলীগ নেতা মো. ফারুক হোসেন, মো. রঞ্জু সরকার, মো. খাঁন প্রিন্স, মো. জিহাদ জুয়েল, মো. আমিনুল করিম রানা, মো. শাকিল আহম্মেদ, মো. অপু, মেহেদী হাসান, মো. রিপন, মেহেদী হাসান শিশির, মিরাজুর রহমান রায়হান, তামিম ইকবাল, কাজল জাহান মুক্তা, তানিয়া আক্তার, দোলন সরকার, ফাতেমা আক্তার প্রমুখ।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। এতে ওই মহাসড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীর নেওয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহসানউল্লাহ মাস্টার নিহত হন। পরে ওই মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ আসামিকে মৃত্যুদন্ড এবং ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন। রায়ে দুই আসামি খালাস পান। গত ১৫ জুন আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় ছয় আসামির মৃত্যুদন্ড ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন হাইকোর্ট। রায়ে অপর ১১ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। পরে আপিল করলে ১১ আসামিকে খালাস করে দেয়া হাইকোর্টের রায় ১৪ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়। সে অনুযায়ী রোববার আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় ১১ আসামিকে খালাস দেয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত সংক্রান্ত বিষয়ে ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।