সম্পাদকীয়; বাবুল আক্তারের ভূমিকা স্পট করুন

Slider জাতীয় টপ নিউজ সারাদেশ

17969_mitu

 

যদি ভুল না হয় তবে একজন চৌকস পুলিশ সুপার পর্যায়ের কোন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে হত্যা এটিই প্রথম। আর এই হত্যা মামলাকে ঘিরে দেশে ১৫ হাজারের মত লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার কখনো বলছে এই হত্যা মামলার সঙ্গে জঙ্গীরা জড়িত আবার কখনো বলা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত জড়িত। এই অবস্থায় মামলার বাদী এসপি বাবুল আক্তারকে ১৫ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় ও আগে পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য মামলাটিকে ধুম্রজালে ফেলে দিয়েছে।  মন্ত্রী এখনো বলছেন, এসপি বাবুল আক্তার জড়িত কি না তা এখনো বলার সময় হয়নি। 

এদিকে এই মামলায় যারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী দিয়েছেন তারা হত্যার কথা স্বীকার করলেও কেন ও কার নিদের্শে হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছেন তাও স্পষ্ট হচ্ছে না। তাহলে ওই নারীকে খুনীরা কেন হত্যা করল তা এখনো অস্পষ্ট। কোন আসামী যখন আদালতে জবানবন্ধী দিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন তখন তিনি অবশ্যই হত্যার মোটিভ সম্পর্কে পূর্ন ধারণা দেন। এসপির স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তি দেয়া আসামীরা হত্যার কারণ ও নির্দেশ দাতার কথা বলেননি এটা মেনে নেয়া যায় না।

সুতরাং এসপির স্ত্রী হত্যা মামলায় এসপি জড়িত থাকলে তাকে গ্রেফতার করুন। অন্যথায় কেন ও কারা হত্যা করেছেন তাও স্পষ্ট করা উচিত। না হয় জাতি এই আলোচিত হত্যাকান্ড নিয়ে ধুম্রজালেই পড়ে থাকবে। এতে ন্যায় বিচারও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *