ফ্রান্সে ছুরিকাঘাতে পুলিশ কমান্ডার হত্যা, দায় স্বীকার আইএসের

Slider সারাবিশ্ব

 

18458_France-1

 

 

 

 

ফ্রান্সে এক পুলিশ কমান্ডারকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে এক সন্ত্রাসী। ইসলামিক স্টেট এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। ফরাসি পুলিশ একটি বাড়ি ঘিরে ফেললে সেখানে হত্যা করা হয় ওই হামলাকারীকে। তার আগে সে ওই পুলিশ কর্মকর্তার এক পার্টনার ও তাদের ছেলেকে জিম্মি করে। পুলিশ কর্মকর্তার ওই পার্টনারের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করতে পেরেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, যদি আইএসের দাবি সত্যি হয় তাহলে গত নভেম্বরে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে ১৩০ জন হত্যার পর এটাই ফ্রান্সে দ্বিতীয় হামলা। নভেম্বরের হামলার পর ফ্রান্সে জারি করা হয়েছিল জরুরি অবস্থা।

তাছাড়া ইউরো ২০১৬ উপলক্ষ্যে ফ্রান্সে এখনও জরুরি অবস্থা অব্যাহত আছে। বিশেষ করে ইউরো উপলক্ষে আইএস হামলা জোরদার করার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে ফ্রান্স রয়েছে কঠোর নিরাপত্তায়। তার মধ্যে একজন পুলিশ কমান্ডারকে হত্যা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। ফরাসি মিডিয়া বলছে, হামলাকারীকে পাকিস্তানি জিহাদী গ্রুপগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৩ সালে জেল দেয়া হয়েছিল। তার নাম লারোসি আব্বাল্লা (২৫)। তার বসবাস ছিল ম্যান্টেস-লা-জোলিতে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রস্তুতির সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য তাকে ওই সময় তিন বছরের জেল দেয়া হয়। ওদিকে ইসলামিক স্টেটের মিডিয়া আমাক বার্তা সংস্থা দাবি করেছে, আইএস যোদ্ধা ফ্রান্সে ওই হামলা চালিয়েছে। সে ফ্রান্সের প্যারিসের উপকণ্ঠে এক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যঅ করেছে।

এ কথা জানিয়েছে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ। ওদিকে ঘটনার পর ফ্রান্সের প্রসিকিউটররা সন্ত্রাস বিরোধী অনুসন্ধান শুরু করেছেন। এ নিয়ে প্রেসিডেন্টের বাসভবন এলিসি প্রাসাদে মন্ত্রীপরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ছুরি হাতে এক ব্যক্তি ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে আঘাত করে। এ সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা ইউনিফর্ম পরা ছিলেন না। তার বাড়ির বাইরে তাকে এভাবে হত্যা করা হয়। তাকে হত্যা করে হামলাকারী বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে একজন নারী ও একটি শিশুকে জিম্মি করে। এক পর্যায়ে সে পুলিশের মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে কথা বলে। এ সময়ে সে নিজে আইএসের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা জানায়। তবে সমঝোতা প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয়। ফলে মধ্যরাতে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। ফ্রান্স পুলিশের রেইড ইউনিট যখন ওই বাড়ির ভিতর এগিয়ে যায় তখন বিকট শব্দে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *