সরকারের ৫৮ অনুরোধের ২১টিতে সাড়া দিয়েছে ফেসবুক

Slider তথ্যপ্রযুক্তি

18124_tarana

 

ফেসবুক তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ৫৮টির মধ্যে ২১টি অনুরোধে সাড়া দিয়েছে। এই প্রথম ফেসবুক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে যে, তারা ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারের চাহিদা অনুযায়ী ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ তথ্য এবং চারটি কনটেন্ট ব্লক করেছে। এছাড়া ফেক আইডি এবং দেশের বাইরে অবস্থানরত অ্যাডমিনের মাধ্যমে পরিচালিত ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট, ব্লগ ইত্যাদির ওপর বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী এবং গোয়েন্দা সংস্থা নজরদারি করছে। পাশাপাশি গুগলের ইউটিউবে নীতিমালা পরিপন্থী ভিডিও সরকারের অনুরোধে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এছাড়া শিশু পর্নোগ্রাফি রোধে এবং সাইবার নিরাপত্তায় মাইক্রোসফটের সঙ্গেও সরকার কাজ করছে। রোববার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে মিথ্যা, মানহানিকর, অপবাদমূলক, হয়রানিমূলক, বিদ্বেষপূর্ণ, জঙ্গিবাদী, ঘৃণামিশ্রিত, শিশুদের অপব্যবহার, অশ্লীল, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধের জন্য ক্ষতিকর বক্তব্য বা বিষয়বস্তু প্রচার রোধে এবং এসব ক্ষতিকর ওয়েবসাইটে জনগণের প্রবেশ ঠেকানোসহ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি) থেকে বাংলাদেশ কম্পিউটার সিকিউরিটি ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিডিসিএসআইআরটি) নামে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ইন্টারনেটভিত্তিক অপরাধ দমনে সহায়তা করা হচ্ছে। ইন্টারনেট সেফটি সলিউশন (আইএসএস) সিস্টেম ক্রয় প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। স্বতন্ত্র এমপি রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, এনটিএমসি এবং সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আসা রাষ্ট্র-সমাজবিরোধী ও ধর্মবিরোধী কনটেন্ট আইআইজি’র মাধ্যমে বন্ধ করা হয়ে থাকে। সাধারণ জনগণের অভিযোগের ভিত্তিতে আপত্তিকর কনটেন্ট আইআইজি’র মাধ্যমে বন্ধ করা হয়। তারানা হালিম বলেন, ফেসবুক, গুগল ও মাইক্রোসফটের সঙ্গে বিশদ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা হয়েছে, যুক্তিগ্রাহ্য অনাকাঙিক্ষত বিষয়গুলো সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তারা প্রতিকার বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ফেসবুক, গুগল ও মাইক্রোসফটের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সদর দপ্তরগুলোর সহায়তায় বিটিআরসি এবং এলইএ (‘ল’ এনফোরসমেন্ট এজেন্সি) সংশ্লিষ্ট কর্মকতাদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলেও প্রতিমন্ত্রী জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *