জেলা পরিক্রমা-১৬, জিসিসিতে হলুদ সাংবাদিকদের ভিকটিম ছিল মান্নান, এখন কিরণ!

Slider টপ নিউজ ফুলজান বিবির বাংলা বাংলার মুখোমুখি সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

DSC01590

 

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর থেকে ফিরে: লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে উপার্জনের জন্য একটি সুবিধাভোগী  হলুদ সাংবাদিক চক্র গাজীপুর সিটিকরপোরেশনকে ঘিরে রেখেছে শুরু থেকে। এরা মেয়রের চেয়ারে যিনি থাকেন তার তোষামোদি করে সিটিকরপোরেশন থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেন। এই চক্রের অধিকাংশই হলুদ সাংবাদিক যারা বিএনপি ও জামায়াত পন্থী।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুর জেলা বিএনপির দুটি গ্রুপ। আভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে একটি গ্রুপ জিসিসির প্রথম মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে সক্রিয় । অধ্যাপক এম এ মান্নান মেয়রের চেয়ারে বসার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী ওই সকল হলুদ সাংবাদিকেরা মেয়র মান্নানের কক্ষে আসা যাওয়া শুরু করেন। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নিজের প্রশংসা শুনতে শুনতে মুগ্ধ মান্নান ওই সকল হলুদ সাংবাদিকদের কব্জা হয়ে যান। এরপর গাজীপুর সিটিকরপোরেশনের সেবামূলক অশংখ্য কাজের দালালী, পত্রিকার বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠিকাদারী, ঠিকাদারদের আটকে থাকা  বিল উত্তোলনের ঠিকাদারী সহ নানা ধরণের দালালী ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন ওই সকল হলুদ সাংবাদিকেরা। ফলে মান্নানের আমলেই অনেকে জায়গা জমি কিনে বাড়ি ঘর নির্মান  করেন। অনেকে আবার কালো টাকার বদৌলতে গাজীপুর শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। অনেকে হোন্ডা বা গাড়িও কিনে ফেলেন ওই সুযোগে।

পরবর্তি সময় আসাদুর রহমান কিরণ ভারপ্রাপ্ত মেয়র হওয়ার পর ওই চক্র আবার পূর্বের কৌশল প্রয়োগ করে কিরণকে ঘিরে ফেলতে সক্ষম হয়। ফলে তাদের অবৈধ দালালী ব্যবসা আবার চলতে শুরু করে।

সূত্র মতে, এই চক্রের সদস্য সংখ্যা ১৩জন। এদের নেতৃত্বে রয়েছেন ৫জন। ১৩ জনের মধ্যে ৮জন বিএনপির, দুই জন জামায়াতের ও বাকীরা আওয়ামীলীগ ও অন্যান্য দল পন্থী।

সূত্র জানায়, গাজীপুর সিটিকরপোরেশনের কতিপয় অফিসার ওই সকল সাংবাদিকদের সঙ্গে গোপন লিঁয়াজো করে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করছেন। তারা পত্রিকার বিজ্ঞাপন, বিজ্ঞাপনের টাকা উত্তোলন, বিভিন্ন সভা সেমিনার, ওয়ার্কশপ দেখিয়ে সাংবাদিকদের ভুল সংখ্যা ব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনে ব্যস্ত রয়েছেন।  এই সকল হলুদ সাংবাদিক ও নগর ভবনের কতিপয় অসাধু লোকের কারণে গাজীপুর নগর ভবনে সাধারণ মানুষ সেবা নিতে আসতে বিব্রত হচ্ছেন।

একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বিভিন্ন্ নামে বেনামে অনুদান নিয়ে সিটিকরপোরেশনের এল আর ফান্ড তসরুফ করার ঘটনাও ঘটিয়েছে ওই চক্র। অধ্যাপক এম এ মান্নান মেয়রের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে লাখ লাখ টাকা নানা কৌশলে হাতিয়ে নেয় ওই চক্র। আসাদুর রহমান কিরণ মেয়রের দায়িত্ব পাওয়ার পরও ওই চক্র আরো সক্রিয় হয়ে উঠে। কাউন্সিলর থেকে মেয়রের পদে অধিষ্ঠিত কিরণ ওই সকল হলুদ সাংবাদিকদের হাতে রাখতে ভান্ডার খোলে দিয়েছেন। ফলে গাজীপুর সিটিকরপোরেশনে আগের চেয়ে লুটপাটের মাত্রা এখন বেশী।

 

বাকী অংশ কাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *