রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ একথা বলেন।
দুদক রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে জেলার শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুর্নীতি প্রতিরোধের পাশাপাশি দমনের কাজ চলবে। কেউ যদি মনে করে, দুদক দমন বাদ দিয়ে শুধু প্রতিরোধের কাজ করবে—এটা ভাবার কোনো অবকাশ নেই। সমাজ, সংসার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসনসহ সর্বত্র দুর্নীতি রয়েছে। সময় নষ্ট করার সময় নেই। সময় এসেছে দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করা ও সমূলে দমন করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কার্যক্রম বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। দুর্নীতি দমনে সমাজ, রাষ্ট্রের সামগ্রিক প্রচেষ্টা জরুরি।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দুর্নীতিপরায়ণদের কাউকেই ছাড় দিতে চাই না। সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্নীতি নামক রাহুর গ্রাস থেকে দেশকে মুক্ত করতে চাই।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দুদক মহাপরিচালক (গবেষণা, পরীক্ষণ, প্রতিরোধ ও গণসচেতনতা) ড. মো. শামসুল আরেফিন, রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল হান্নান, রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি এম খুরশিদ হোসেন, দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক মো. আবু সাঈদ প্রমুখ।
শ্রেষ্ঠ জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি হিসেবে বগুড়া ও পঞ্চগড় জেলা কমিটির সদস্যদের ও শ্রেষ্ঠ উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি হিসেবে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, বগুড়ার শেরপুর, পাবনার বেড়া, রংপুরের গংগাচড়া, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা দুদক চেয়ারম্যানের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। এরপর দুর্নীতিবিরোধী একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।