১৯৬ শতাংশ ভোট? ইসির চ্যালেঞ্জ!

Slider গ্রাম বাংলা টপ নিউজ বাধ ভাঙ্গা মত রাজনীতি সম্পাদকীয়

bab33574d3d9e329d80eafac67e961bd-0D7A9986

 

বিভিন্ন গণমাধ্যমে ২৩ এপ্রিলে কোথাও কোথাও ১৯৬ শতাংশ ভোট পড়েছে মর্মে খবর প্রকাশিত হয়েছে। আজ নির্বাচন কমিশন(ইসি) ওই সকল খবরের প্রতিবাদ করে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, খবর গুলো সঠিক নয়। বাংলাদেশে চলমান ভোটকে সুষ্ঠু দাবি করা ইসির জন্য বেমানান। কারণ বাস্তবতা ইসির বিপরীতে।

সরেজমিন পরিদর্শন করে বিভিন্ন গণমাধ্যম যা বলেছে, তা থেকে বাস্তব চিত্র আরো অনেক বেশী ভয়াবহ। অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটের আগের রাতে নৌকার প্রার্থীরা প্রবেশ করেছেন প্রকাশ্যে। গোপন সূত্র বলছে, ওই প্রার্থীরা শুধু চেয়ারম্যান বা কোথাও কোথাও একটি চেয়ারম্যান একটি মেম্বার বা একটি চেয়ারম্যান একটি পুরুষ ও একটি মহিলা মেম্বারের প্রতীকে ৫ শতাধিক ভোট সিল মেরে বাক্সে ভরে রেখেছেন। ভোট গ্রহনের পর গণনা শুরু হলে সকল বাক্সের সঙ্গে ওই বাক্সটিও ঢেলে দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের সময় নৌকা ছাড়া বাকী প্রায় সকল চেয়ারম্যান প্রার্থীদের এজেন্ট বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে সিল মারাও হয়েছে। ফলে কোন কোন কেন্দ্রে বেলা ২টার পর আর ভোটাররা আসেননি। কারণ ভোটাররা জেনে গেছেন যে তাদের ভোট দেয়া হয়ে গেছে। গনমাধ্যমে সিল মারার অসংখ্য ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। সিল মারতে গিয়ে অনেক কেন্দ্রের মোট ভোট থেকে বেশী ভোটে সিল মারা হয়েছে। সারা দেশের সকল চিত্র তুলনা করে গণমাধ্যম বলেছে কোথাও কোথাও ১৯৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর নির্বাচন কমিশন প্রতিবাদ করে বলছে গণমাধ্যমের খবর সঠিক নয়। ফলে এটা ইসির জন্য মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়।

ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদে তিনটি ধাপে যে ধরণের ভোট হয়েছে তাতে জনগনের মতামতের কোন প্রতিফলন ঘটেনি। এই ধরণের ভোট রাষ্ট্র ও জনগনের জন্য ক্ষতিকর। তাই সকল মহল থেকে দাবি করা যায়, ভোট না দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নকে নির্বাচিত করলে দেশের উন্নয়ন হবে। অযথা রাষ্ট্রের মালিক জনগনকে  আমন্ত্রন জানিয়ে ডেকে এনে অপমান করার কোন এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই। কারণ জনগনের টাকায় নির্বাচন কমিশন চলে এটাও মনে রাখা উচিত।

ড. এ কে এম রিপন আনসারী

এডিটর ইনচীফ

গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *