একজন দুলাল ও গাজীপুর বিএনপি

Slider গ্রাম বাংলা ফুলজান বিবির বাংলা রাজনীতি

Dolal-4

 

 

গাজীপুর অফিস: ১৭ মামলার আসামী হয়ে জেল জুলুম খেটে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে  জেলা শহরে বসবাস করছেন  বিএনপির এক কর্মী। নাম তার ইমরান হোসেন দুলাল। বর্তমান বয়স ৩৬ বছর। পিতার নাম শহিদুল ইসলাম। বাড়ি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের রাখালিয়ারচালা গ্রামে। ১৯৯৫ সালে এসএসসি পাশ করে ছাত্র দলের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। পারিবারিক ভাবে সকলেই বিএনপির সঙ্গে যুক্ত থাকায় তিনিও যোগ দেন বিএনপিতে। কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত হন। আর শুরু হয় মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা। বেশ কয়েকবার তিনি গ্রেফতার হন। পুলিশ একের পর এক মিথ্যা মামলায় দফায় দফায় রিামেন্ড নেন দুলালকে।  ১৯ বছর বয়সে ১৭ মামলার আসামী হয়ে জেল জুলুম রিমান্ড ডিটেনশন খেটে জীবনের ভয়ে তিনি পালিয়ে যান দেশের বিভিন্ন স্থানে। ফলে আর লেখা পড়া জোটেনি তার ভাগ্যে।

জীবন চক্রের এক পর্যায়ে আত্মরক্ষার জন্য  তিনি উপজেলা ছেড়ে গাজীপুর জেলা শহরের উত্তর রাজবাড়িতে অস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। জীবন চালাতে তিনি গাজীপুর আদালতে আইনজীবীর সহকারী হিসেবে এখন  কাজ করছেন। আদালতে কাজ করা কালীন সময়ে তিনি গাজীপুর জেলা বিএনপির অফিসে নিয়মিত যাতায়াত করেন। ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সকল নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। তখন জেলা বিএনপি অফিস অচল হয়ে পড়ে। ওই সময় থেকে দুলাল উদ্দিন দলের টানে বিএনপি অফিসের আর্থিক খরচ অনেকটাই বহন করতে শুরু করেন। আওয়ামীলীগ গাজীপুর বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগ করার পর সকল আসবাবপত্র পুঁড়ে যায়। তখন দুলাল উদ্দিন বেশ কিছু চেয়ার ক্রয় করে বিএনপি অফিসকে চাঙা করে রাখেন। রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের ব্যানার ফেস্টুন সহ নানা ধরণের কাজে তার অর্থ বিনিয়োগ হয়। তিনি বর্তমানেও একই কাজ করছেন। গাজীপুর জেলা বিএনপি অফিসের সকল সময়ের একজন ত্যাগী কর্মী দুলাল সকল ত্যাগের বিনিময়ে কিছুই চান না। শুধু দল একটু মূল্যায়ন করুক এটাই তার একমাত্র চাওয়া ও পাওয়া।

Dolal

 

 

 

 

 

 

 

 

নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ইমরান হোসেন দুলাল জানান, আমি জীবন যৌবন ও অর্থ সবই দিলাম। কিন্তু দল আমাকে কিছুই দেয়নি। ২০১৪ সালে অনেক কষ্ট করে কালিয়াকৈর উপজেলা সেচ্চাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়কের একটি অস্থায়ী পদ পেয়েছি। জেলা বিএনপির সঙ্গে সার্বক্ষনিক যুক্ত থেকে উপজেলার একটি পদ নেয়ার অর্থ হল পরিচয় টুকু নিয়ে বেঁচে থাকা। জীবনের সব চেয়ে বড় ত্যাগের বিনিময়ে দল যদি জেলা পর্যায়ে একটি ভাল ও সম্মানজনক পদ দিতেন তবে বাকী জীবনটা হয়ত একটু স্বস্তিতে কেটে যেত।

চাওয়া ও পাওয়া যাই হউক তিনি শুধু চান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দল তার প্রানের স্পন্দন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে দেশ পরিচালনা করুক। তিনি দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সহ জিয়া পরিবারের সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করেন।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *