হত্যা মামলাটি অপমৃত্যু হিসেবে নথিভুক্ত

জাতীয়

 

Lash_505998846_974489452

 

 

 

 

 

ঢাকা: চারদিন অতিবাহিত হলেও রাজধানীর কাফরুলে গৃহকর্মী জনিয়া হত্যার ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

সুরতহাল প্রতিবদনে জনিয়াকে হত্যার স্পষ্ট আলামত পাওয়া গেলেও পরিবারের করা হত্যা মামলাকে অপমৃত্যু মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে পুলিশ।

জনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে- পরিবারের এমন অভিযোগের বিষয়ে কাফরুল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শিকদার মো. শামীম বলেন,  ময়নাতদন্ত রির্পোট এখনো হাতে পাইনি। তাই ধর্ষণের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, নিহতের পরিবার যা অভিযোগ করেছে সেগুলো আমলে নিয়েই তদন্ত চলছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, এই হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাদের কাছ থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এ হত্যার ঘটনায় গৃহকর্তা যুগ্ম সচিব আহসান হাবিব, তার স্ত্রী নাজনিন আক্তার ও ছেলে রুম্মনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

মামলা তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে আবারো তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

নিহতের  বাবা ওসমান গণি বলেন,  আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ওরা ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে। থানায় হত্যা মামলা করতে গেলেও পুলিশ হত্যা মামলাকে অপমৃত্যুর মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে।

পুলিশ মামলা তদন্তে গড়িমসি করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, হত্যার চারদিন পরেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

পরিবারের করা হত্যা মামলাকে অপমৃত্যু মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা প্রসঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান  বলেন, পরিবারের এমন অভিযোগ সঠিক নয়। নিহতের বাবা এই মামলা করেছেন। তবে পরিবার যদি চায় হত্যা মামলাও করতে পারবে।

মামলার তদন্তে কোন অগ্রগতি হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এখনো বলার মতো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে গত ৬ র্মাচ সকালে কাফরুলের সরকারি কোয়ার্টার ন্যাম গার্ডেনের ৩ নম্বর ভবনের সামনে থেকে  রিকশাচালক ওসমান গণি ও ফুল বানু দম্পতির মেয়ে জনিয়া বেগমের (১৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ভবনের ৪র্থ তলায় যুগ্মসচিব আহসান হাবিবের বাসায় গৃহর্কমীর কাজ করতেন জনিয়ার মা ফুল বানু। তিনি অসুস্থ থাকায় কয়েকদিনে জন্য ওই বাসায় কাজে পাঠান মেয়েকে। কাজের ৬ষ্ঠ দিন সকালে নিজ বাসা থেকে যাওয়ার পর ওই ভবনের  নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *