সম্পাদকীয়: মন্ত্রীদ্বয় শো’কজ। বিচারপতি মানিকের অভিযোগ নেই!

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ ফুলজান বিবির বাংলা বাংলার আদালত বাংলার মুখোমুখি বিনোদন ও মিডিয়া রাজনীতি সম্পাদকীয়

1457345753

বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্যকরার প্রথা প্রচলিত আছে। আইনে নিষেধ থাকলেও তেমন ভাবে মানা হচ্ছে না বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি নিয়ে মন্তব্য অনাকংখিত ও দুঃখজনক। বাংলাদেশের একজন অশিক্ষিত নাগরিকও এ ধরণের মন্তব্য করতে সাহস পাবেন বলে মনে হয় না। একজন সাবেক বিচারপতির পর সরকারের দুইজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী কাম আইনজীবী  কি ভাবে আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তা  সাধারণের বোধগম্য নয়। এই ধরণের বক্তব্য দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের বক্তব্য স্বীকার করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাও অপ্রত্যাশিত। দুইজন মন্ত্রীর বক্তব্য সরকারের বক্তব্য নয় বলে প্রধানমন্ত্রী শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চেয়েছেন তার পরিস্কার। কারণ ওই দুইজন এমপি ও মন্ত্রী এবং তারা সরকারের অংশ। তারা সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন। তাদের কথায় রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ খরচ হয়। তাদের কথায় আইন প্রনয়ন হয়। তাদের কথায় বিচারপতির বিরুদ্ধেও ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আসতে পারে। সুতরাং মন্ত্রীদ্বয় যে কথা বলেছেন তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেই ভাল হত। তা না করায় ১৫ মার্চ আদালত তাদের ডেকেছেন বলে খবর বেরিয়েছে।

পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইতোমধ্যে একজন অবসারপ্রাপ্ত বিচারপতি(শামছুদ্দিন চৌধুরী ,মানিক) মিডিয়ায় প্রধান বিচারপতি ও উচ্চ আদালত নিয়ে যেসব কথা বলেছেন সেগুলোও নিঃসেন্দহে আদালত অবমাননার সামিল। কিন্তু তা সত্যেও  ওই বিচারপতির বক্তব্যের বিষয়ে  কেউ কোন উদ্যোগও গ্রহন করেননি। ফলে মন্ত্রীদ্বয়ও এ ধরণের কথা বলতে দ্বিধা করেন নি। একটি অপরাধকে আড়াল করলে একাধিক অপরাধ প্রতিযোগিতা করে বেড়ে যায়। সুতরাং এ সকল বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *