দ্রুততম মানব-মানবী শ্রীলংকার

Slider খেলা

 

untitled-11_192222

 

 

 

 

 

মেঘালয়ের আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। রাজধানী শিলংয়েও বাংলাদেশি অ্যাথলেটদের চোখেমুখে ছিল অন্ধকার। ১৬ হাজার উচ্চতার শহরে স্বর্ণের আশা জাগিয়েও তীরন্দাজরা হতাশ করলেন। মিক্সড রিকার্ভ ডিভিশনের ফাইনালে শেখ সজীব ও বিউটি রায় বাংলাদেশকে এনে দিলেন রৌপ্য। আর আসামের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে ঠাণ্ডা হাওয়ায় মিইয়ে গেছে বাংলাদেশের স্বর্ণের আশা। গৌহাটিতেও সোনালি হাসি দেখা যায়নি বাংলাদেশের কোনো অ্যাথলেটের মুখে। টানা দু’দিন স্বর্ণ জেতা বাংলাদেশ গতকাল একটি স্বর্ণও পায়নি। আশায় গুড়েবালি দিয়ে অ্যাথলেটিক্সে হতাশ করেছেন বাংলাদেশের দৌড়বিদরা। দক্ষিণ এশিয়ার জনসংখ্যা প্রায় দুইশ’ কোটি।
দুইশ’ কোটি জনসংখ্যার দ্রুততম মানবী ও মানবী শ্রীলংকার। আকর্ষণীয় ইভেন্ট ১০০ মিটারে পুরুষদের মধ্যে বাংলাদেশের মেজবাহ আহমেদ হয়েছেন চতুর্থ। এই ইভেন্টে স্বর্ণ জিতে দ্রুততম মানব হয়েছেন শ্রীলংকার হিমাশা এহসান। তিনি সময় নিয়েছেন ১০.২৮ সেকেন্ড। আর ১০০ মিটার ইভেন্টে দ্রুততম মানবী হয়েছেন শ্রীলংকার রত্নায়াকে। বাংলাদেশের সোহাগী আক্তার হয়েছেন পঞ্চম। সব মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে গতকাল দুটি শহরেই বাংলাদেশিদের বেশি ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
গৌহাটির সারুসজাই কমপ্লেক্সে দৃষ্টি সবার। ফ্লাডলাইটের সব আলো যেন ১০০ মিটার স্প্রিন্টে অংশ নেওয়া প্রতিযোগীদের দিকে। আর কোটি বাঙালির চোখ ছিল পুরুষ ইভেন্টে বাংলাদেশের দৌড়বিদ মেজবাহ আহমেদের দিকে। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে বাংলাদেশের সব আশা তাকে ঘিরেই। ১৯৯৯ কাঠমান্ডু সাফের পর ১০০ মিটার স্প্রিন্টে বাংলাদেশকে স্বর্ণপদক এনে দেবেন মেজবাহ। কিন্তু সব আশায় গুড়েবালি। স্বর্ণ দূরের কথা, ব্রোঞ্জও জোটেনি তার ভাগ্যে। ১০.৮২ সেকেন্ড সময় নিয়ে হয়েছেন চতুর্থ। ১০.২৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্রুততম মানব হয়েছেন শ্রীলংকার হিমাশা এহসান।

 

দেশসেরা দৌড়বিদ মেজবাহ হতাশ করার পর মেয়েদের নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন সবাই। কোনো পদকের আশাই করেননি কেউই। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হয়েছে। ১২.৩৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে পঞ্চম হয়েছেন বাংলাদেশের সোহাগী আক্তার। আর শ্রীলংকার রত্নায়াকে ১১.৭১ টাইমিং নিয়ে দ্রুততম মানবী হয়েছেন। মাত্র ০০.০১ সেকেন্ড বেশি নিয়ে ভারতের শ্রাবণী নন্দা রৌপ্য ও চান্দ ০০.০৪ সেকেন্ড বেশিতে ব্রোঞ্জ জিতেছেন।
এসএ গেমসের পঞ্চম দিনে উশুতে দুটি ব্রোঞ্জ পেয়েছে বাংলাদেশ। ৬০ কেজি ওজন শ্রেণীর সামসু ইভেন্টে বাংলাদেশকে ব্রোঞ্জ পদক এনে দেন মিলন আলী। আর ৭০ কেজি ওজন শ্রেণীর সামসু ইভেন্টে তৃতীয় হন বাংলাদেশের আনিসুর রহমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *