মুক্তিযুদ্ধ অবমাননা করলে শাস্তি, আসছে আইন

Slider জাতীয়

Budget_sm1_391266324

 

 

 

 

মহান মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ অবমাননা আইন নামের নতুন একটি আইন প্রণয়ণের কথা সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য (এমপি) ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পীর পৃথক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এসব তথ্য জানান।

একই সঙ্গে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচারের জন্য ইন্টারন্যাশনল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট-১৯৭৩ এর সংশোধনের বিষয়টিও ভেবে দেখছে সরকার।

আইনমন্ত্রী জানান, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধ ও তৎকালীন সময়ের ইতিহাস বিকৃত করার প্রবণতা কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনীতিকের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে কোনো ব্যক্তি যদি মুক্তিযুদ্ধ এবং তৎকালীন সময়ের ইতিহাস বা স্বীকৃত ঘটনাবলী সম্পর্কে অযাচিত বা অসত্য তথ্য পরিবেশন করেন বা এ সম্পর্কে কোনো অসত্য বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করেন, তাহলে তা সামগ্রিকভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করার শামিল হবে।

‘ওই ব্যক্তির কর্মকাণ্ডকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে মুক্তিযুদ্ধ অবমাননা আইন প্রণয়নের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।’

সরকারি দলের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রতিটি অপরাধের বিচার নির্দিষ্ট আইন দ্বারা নির্ধারিত। আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে যারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছেন, তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

‘এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িতদের বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। এ ধরনের অপরাধের বিচারকার্য দ্রুত শেষ করা হবে- এমন আশা করা যায়।’

এমপি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়ার অপর প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বর্তমান সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

এজন্য বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।

দারিদ্র্য/অসহায় জনগোষ্ঠীকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য ৬৪টি জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে ও বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির জন্য উচ্চতর ও নিম্ন আদালতে বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এছাড়াও ঢাকায় একটি সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *