রাষ্ট্রপতির জন্মদিনে হাওরবাসীর শুভেচ্ছা

Slider জাতীয়

 

 

Presedent_Birthday_226821770

 

 

 

 

কিশোরগঞ্জ: হাওরের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রিয় মানুষ, কাছের মানুষ, নন্দিত মানুষ, হাওরের মানুষ রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ। ০১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের জন্মদিন। আজকের এ দিনে তিনি ৭২ বছর পেরিয়ে ৭৩ বছরে পা দিলেন।

রাষ্ট্রপতির জন্মদিন উপলক্ষে কিশোরগঞ্জের হাওরবাসী (অষ্টগ্রাম-ইটনা-মিঠামইন) বিভিন্ন জায়গা থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।

অষ্টগ্রাম-ইটনা-মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগসহ ব্যবসায়ীরাও কেক কেটে ও মিষ্টি বিতরণ করে তার জন্মদিন উদযাপন করছেন।

মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর বৈষ্ণব বলেন, রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ যৌথভাবে কেক কেটে এবং মিষ্টি বিতরণ করে রাষ্ট্রপতির জন্মদিন উদযাপন করেছে।

ঘাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল বাংলানিউজকে বলেন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের হাওরে জন্ম না হলে এখানকার মানুষ অন্ধকারেই থেকে যেতো।

তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রপতি যখন দশম শ্রেণিতে পড়েন আমি তখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। সেই সময় থেকেই তার সঙ্গে আমার সখ্যতা গড়ে উঠে। শুক্রবার আমাদের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন কার্যালয়ে ওনার জন্মদিন উদযাপন করা হবে।

রাষ্ট্রপতির দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সহচর অষ্টগ্রাম উপজেলার বাঙলাপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সবধর মিয়া  জানান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন থেকে রাষ্ট্রপতির  সঙ্গে আছি, আশা করি শেষ সময় পর্যন্ত থাকবো।

আদমপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মন মোহন দাস বাংলানিউজকে জানান, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হাওরের মানুষ হওয়াতে ওনার মনটাও হাওরের মতো বিশাল। আমরা তার জন্মদিনে কেক ও মিষ্টি বিতরণের আয়োজন করেছি।

ইটনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন জানান, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ১৯৬৬ সাল থেকে আমার পরিচয়। সেই সময় থেকে আমরা এক সঙ্গে রাজনীতি করছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা তার জন্মদিন উদযাপন করছি।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৯৪১ সালের ০১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নিকলী জি. সি. উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। তারপর কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএ পাস করেন। গুরুদয়াল সরকারি কলেজে পড়ার সময় তিনি ভিপি নির্বাচিত হন। পেশায় অ্যাডভোকেট থাকাকালীন তিনি কয়েকবার কিশোরগঞ্জ বারের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি কিশোরগঞ্জ-৪ (অষ্টগ্রাম-ইটনা-মিঠামইন) থেকে ৭ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৬৬ সালে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার হন। এরপর ২০০১ সালে জাতীয় বিরোধী দলীয় উপনেতা। ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের স্পিকার নিযুক্ত হন। সর্বশেষ ২০১৩ সালে তিনি বাংলাদেশের ২০ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

ব্যক্তিগত জীবনে তার স্ত্রী মোছা. রশীদা হামিদ, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *