দিনমজুরের কাজে না যাওয়াকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫টি দোকান ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৭৬ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়েছে পুলিশ।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে শৈলকুপা উপজেলার আওধা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক জানান, উপজেলার রুপদাহ গ্রামের এক দিনমজুরকে পিঁয়াজ লাগানোর কাজে নেন পার্শ্ববর্তী কুশাবাড়িয়া গ্রামের একব্যক্তি। সোমবার ওই দিনমজুর কাজে না আসায় এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে আওধা গ্রামের মাঠে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে উপজেলার ৮নং ধলহরা চন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমান এবং ১০ নং বগুড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলামের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আওধা বাজারের কমপক্ষে ১৫ টি দোকান ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
ওসি আরও জানান, সংঘর্ষে আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৭৬ রাউন্ড শটগানের গুলি বর্ষণ করেছে পুলিশ। পরে দমকল বাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
