ঢাকা: রাজধানীর ওয়ারীর একটি মেসে রুমের ভেতর আগুন লাগিয়ে বাইরে থেকে তালা মেরে দুর্বৃত্তদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে অগ্নিদগ্ধ তিনজনের মধ্যে দুজনই মারা গেলেন।
টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান কিশোর শহিদ (১৫)।
তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, ‘অভিযান অব্যাহত আছে। খুব শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’
এ ব্যাপারে পুলিশের গাফিলতি আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আসামিরা অনেক চালাক। তারা বিভিন্ন সময় লোকেশন চেঞ্জ করছে।’
নিহত শহিদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালির সেনবাগে। তার পিতার নাম সোলেমান। মায়ের নাম রোকেয়া বেগম।
মঙ্গলবার সকালে শহিদের বড় ভাই সোহেল জানান, ওয়ারী এলাকার ফেমাস ডিজেল পাম্পে শহিদ চাকরি করত। তার বাবা টেক্সটাইল মিলে চাকরি করে।
ওয়ারীর নারিন্দা মোড়ের ‘হা মীম’ রেস্তোরাঁর দ্বিতীয় তলায় একটি মেসে ভাড়া থাকত সুমন (৪০), শহিদ (১৫) ও শাকিব (৩৫)। ১০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে তাদের রুমের ভেতর কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে দুটি তালা মেরে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ঝলসে যান তিনজনই। ১০ ডিসেম্বর দুপুরেই মারা যান সুমন। আজ সকালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা গেলেন শহিদ। চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরের ৮৫ শতাংশই ঝলসে গিয়েছিল। শ্বাসনালীও পুড়ে যায় তার।
১০ ডিসেম্বর দুপুরে সুমন অভিযোগ করেছিলেন, মাদকাসক্ত সোহাগ ও রাজিব নামে দুই ব্যক্তি তাদের মেসের রুমে আগুন লাগিয়ে বাইরে থেকে তালা মেরে চলে যায়।