আরিফকে শহরের ইতিহ্যবাহী চাঁদের হাট সমিতির সমর্থন ॥ আওয়ামীলীগের সংকেতের অপেক্ষা

রংপুর

arif pic-11-11-2015

 

 

 

 

 

 

মাহিদুল ইসলাম রিপন দিনাজপুর

আসন্ন দিনাজপুর পৌরসভা নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আরিফুর রহমান আরিফকে সর্মথন জানিয়েছে দিনাজপুর শহরের সুনামধন্য ও ইতিহ্যবাহি সংগঠন বালুবাড়ী চাঁদের হাট সমিতি। সেই সাথে পৌর নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ডে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা তাকেই প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) এক জরুরী সভায় সকল সদস্যদের সম্মতিক্রমে সভাপতি শাহ্ রেজাউর রহমান হিরু এ ঘোষনা দেন।

জরুরী সভায় অনুষ্ঠিত বক্তব্যে আরিফুর রহমান আরিফের প্রার্থীতা সম্পর্কে বলেন, আরিফ দিনাজপুর শহরের ইতিহ্যবাহি সংগঠন চাঁদের হাট সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৮নং শহর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক। সে দীর্ঘদিন থেকে মোটর পরিবহন, রাজনৈতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সততার সাথে দাযিত্ব পালন করে আসছে। এছাড়া সামাজিক মূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডে সাধারন মানুষের সুখ-দুখের সঙ্গী হিসেবে কাজ করেন।

এব্যাপারে দিনাজপুর বালুবাড়ী চাঁদের হাট সমিতির একজন সদস্য জানান, আরিফুর রহমান আরিফ একজন সামাজিক সংগঠন চালানোর একজন দক্ষ কারিগর। সে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন সংগঠন দক্ষতার সাথে চালিয়ে আসছে। তার দীর্ঘদিনের পথচলায় কোন ধরনের ত্র“টি পাওয়া যায়নি। তার দক্ষতা ও সততার কারনেই আমাদের (চাঁদের হাট সমিতি) সংগঠন থেকে তাকে প্রার্থী হিসেবে সমর্থন জানানো হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের মহল্লা কমিটির সদস্য হবিবর রহমানসহ একাধিক সদস্য বলেন, আরিফুর রহমান আরিফ ছাত্র রাজনীতি থেকে আওয়ামীলীগের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। সে ১৯৯৫ সালে শহর ছাত্রলীগের সি ওয়ার্ডের সভাপতি থাকাকালীন দিনাজপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ছাত্রলীগের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। তৎকালীন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্র দলের ষড়যন্ত্রকে ভেদ করে ছাত্রলীগের ঘাটি তৈরি করে। তৎকালীন ছাত্রদলের নেতা তাজ উদ্দীন আহম্মেদ আরিফুর রহমান আরিফসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। শত মামলা হামলার পরও পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ছাত্রলীগের রাজনীতি ধরে রাখার বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই আরিফ।

শুধু ছাত্র রাজনীতি নয় দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে তিনি স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে ওয়ার্ডের সকল শ্রেণীর মানুষের বিপদে তাকে সার্বক্ষনিক কাছে পাওয়া গেছে। সে ছাত্র রাজনীতি থেকে মূল দলের হাল ধরলেও দল ক্ষমতার থাকার পরও কোন ধরনের দুর্নীতি বা অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেননা। আরিফ কোন ধরনের ফলাফলের দিকে না তাকিয়ে আওয়ামীলীগের কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। আমরা সাধারন ভোটাররা যাকে সার্বক্ষনিক কাছে পাবো তাকেই জন প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চাই। বর্তমান সরকার যেহুতু নতুন নিয়মে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুতারাং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া আওয়ামীলীগের মূল ধারার রাজনীতি বজায় রাখতে হলে মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠ জরিপের মাধ্যমে আরিফকে আওয়ামীলীগের প্রার্থীতা দেওয়ার জন্য আওয়ামীলীগের তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের দৃষ্ঠি আকর্ষন করছি।

এছাড়া সরেজমিনে দেখা যায়, আরিফুর রহমান আরিফ দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন সামাজিক মূলক কর্মকান্ড ও আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় মাঠ পর্যায়ে অনান্য প্রার্থীর তুলনায় তার অবস্থান অনেকটাই শক্ত। আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদন্দ্বীতা করলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *