সরেজমিন গাজীপুর-৮ এসপির নামে বকেয়া চাঁদা আদায়ে

Slider অর্থ ও বাণিজ্য গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ বাধ ভাঙ্গা মত

DSC07128

গ্রাম বাংলা টিম: ৬টি টেম্পো ষ্ট্যান্ডের ৪ মাসের বকেয়া চাঁদা আদায়ে এক চাঁদা উত্তোলনকারীকে  আটক করেছে টাউন ফাঁড়ির দারোগা। টাকা আদায় না হওয়ায় তাকে আদালতে চালান দিয়েছে থানা পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যায় জয়দেবপুর থানা পুলিশ আশরাফুল ইসলাম(২৮) নামে এক ব্যাক্তিকে আদালতে সোপর্দ করে জয়দেবপুর থানা পুলিশ। তার পিতার নাম সূর্য্যত আলী। বাসা গাজীপুর শহরের ট্যাংকির পাড় এলাকায়। রোববার সকাল ১১টায় গাজীপুর টাউন ফাঁড়ির পুুলিশ তাকে আটক করে।

আশরাফুলের নিকটাত্মীয় রমজান আলী  বলেছেন, গাজীপুর শহরে ১২টি টেম্পোষ্ট্যান্ড থেকে মাসিক ২হাজার টাকা করে চাঁদা তুলেন টাউন ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক(টিএসআই) মোঃ শহিদুল্লাহ। ১২টি ষ্ট্যান্ডর মধ্যে ৬টি ষ্ট্যান্ডের ৪ মাসের চাঁদা বকেয়া পড়ে গেছে। ওই বকেয়া চাঁদা আদায়ের জন্য আশরাফুলকে রোববার বেলা ১১টায় আটক করেছে টিএসআই শহিদুল্লাহ। রোববার দিনব্যাপী দেন-দরবার করেও আশরাফুলেেক ছাড়ানো যায় নি। টিএসআই শহিদুল্লাহ বলেছেন, ৬টি ষ্ট্যান্ডের চাঁদা না পাওয়ায় আশরাফকে আটক করা হয়েছে। চাঁদা পরিশোধ না হলে তাকে আদালতে চাঁদাবাজী মামলায় চালান দেয়া হবে।

সোমবার দুপুরে গাজীপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন জানান, গাজীপুর সিটিকর্পোরেশনের নামে যারা চাঁদা আদায় করেন তাদেরকে গ্রেফতার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে বকেয়া চাঁদা আদায়ের জন্য একজনকে আটকের খবর সঠিক নয়।  যাকে আটক করা হয়েছে, তিনি অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করছিলেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুর শহরে ১২টি ষ্ট্যান্ডে যানবাহন থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় হয়। গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের ষ্ট্যান্ডটির ইজারাদার গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ এরশাদ। বাকী ১১টি ষ্ট্যান্ডের ইজাদার যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন। আটককৃত আশরাফুল ইসলাম, ইজারাদার আনোয়ার হোসেনের বেতনভূক্ত  কর্মচারী। যানবাহনে রশিদ দিয়ে চাঁদা তুলে তিনি ইজারাদারের নিকট জমা দেন। পারিবারিকভাবে আশরাফুল চাকুরী করেন বলেই জানে।

১১টি ষ্ট্যান্ড থেকে চাঁদা আদায়ের ব্যাপারে আনোয়ার হোসেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, গাজীপুর সিটিকর্পোরেশনের মাধ্যমে ইজারা প্রাপ্ত হয়ে তিনি চাঁদা আদায় করছেন। বরাদ্দপত্রের মাধ্যমে তিনি সিটিকর্পোরেশনকে ১লাখ ৬৭ হাজার টাকা প্রদান করে  যথাযথ বরাদ্দপত্র হাতে নিয়ে চাঁদা আদায় করছেন। পুলিশ তার কর্মচারী আটকের পর বারবার চেষ্টা করা হলেও টিএসআই তার কোন কথা শুনেননি।

সরেজমিন দেখা যায়, গাজীপুর শহরে সকল ষ্ট্যান্ডে কর্মচারীরা যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করছেন। প্রতিটি ষ্ট্যান্ডে তিন ধরণের রশিদ দিয়ে চাঁদা আদায় হচ্ছে। ওই একজন চাঁদা উত্তোলনকারী ছাড়া আর কেউ আটক হয়নি বা চাঁদা উত্তোলন বন্ধ হয়নি।

স্থানীয়রা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে একজন চাঁদা উত্তোলনকারী আটকের মাধ্যমে ৬ষ্ট্যান্ডের বকেয়া চাঁদা পরিশোধ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। বকেয়া পরিশোধ হলে আর কোন ঝামেলা থাকবে না বলে জানান ওই সূত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *