ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের হাতে বন্দী থাকা লোকদের মুক্ত করতে নতুন আলোচনা চলছে। তবে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, তাদের জনগণের ওপর হামলা চিরতরে বন্ধ না হলে তারা কোনো বন্দীকে মুক্তি দেবে না।
রোববার এক টেলিভিশন সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ‘অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ’ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েও হামাসের হাতে বন্দীদের মুক্তির জন্য আলোচনার ইঙ্গিত দেন।
গাজায় নৃশংস বোমা হামলা অব্যাহত রাখার ফলে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক চাপের মধ্যে রয়েছেন নেতানিয়াহু। তবে সেইসাথে ইসরাইলি সৈন্যরা ভুলক্রমে হামাসের হাতে বন্দী থাকা তিনজনকে গুলি করে হত্যার পর তার ওপর চাপ আরো বেড়ে গেছে। ফলে তিনি এখন যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে বন্দী বিনিময়ের আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়েছেন।
তিনি বলেন, তিনি আলোচকদলকে নির্দেশনা দিয়েছেন এগিয়ে যেতে।
ইসরাইলি গুপ্তচর সংস্থা মোশাদের প্রধান কাতারে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের প্রেক্ষাপটে নেতানিয়াহু এই মন্তব্য করলেন। কাতারের মধ্যস্ততায় গত মাসে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময় হয়েছিল।
এর আগে শনিবার কাতার নিশ্চিত করে যে নতুন অস্ত্রবিরতির জন্য আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, আমরা কাতারের প্রবল সমালোচক। তবে এখন আমরা আমাদের পণবন্দীদের মুক্ত করার চেষ্টা করছি।
পরে হামাস এক বিবৃতিতে তাদের অবস্থান ‘পুনঃব্যক্ত’ করে জানায় যে ‘আমাদের জনগণের ওপর হামলা চিরতরে বন্ধ না করা পর্যন্ত বন্দী বিনিময়ের কোনো আলোচনা শুরু হবে না।’
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হামাস তাদের এই অবস্থানের কথা সকল মধ্যস্ততাকারীকে জানিয়ে দিয়েছে।’
ইসরাইল অব্যাহতভাবে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। মর্মান্তিক এই হামলায় গাজায় প্রায় ১৯ হাজার লোক নিহত হয়েছে। এছাড়া আরো কয়েক শ’ লোক বিধ্বস্ত বাড়িঘরের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের বেশির ভাগই নারী এবং শিশু।
সূত্র : আল জাজিরা