ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখল বাংলাদেশ

Slider খেলা


ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে পা রেখেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। লক্ষ্য খুব একটা বেশি ছিল না। কিন্তু ৩৪ রানের মধ্যেই প্রথম তিন ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এরপর হাল ধরেন আরিফুল ইসলাম।

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে দেননি আরিফুল। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন আহরার আমিন। দু’জনের জুটিতে ভর করে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে পা রাখে যুবা টাইগাররা। আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৪ উইকেটে হারায় তারা।

দুবাইয়ে আইসিসি ক্রিকেট একাডেমিতে টস জিতে ব্যাট করতে পাঠিয়ে দারুণ বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। বল হাতে ইনিংসের শুরুটা দারুণ করেন বোলাররা। দ্বিতীয় বলেই ওপেনার আদর্শ সিংকে ফেরান মারুফ। বাঁহাতি এই পেসার দলীয় ১৩ রানের মধ্যে ফেরান আরশিন কুলকারনি ও অধিনায়ক উদয় সাহারানকেও। মারুফের বেধে দেয়া ছন্দে তাল মিলিয়ে উইকেট তুলে নেন রোহানাত।

একপর্যায়ে ৬১ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত। এরপর মুশীরের সাথে অভিষেকের ৮৪ রানের জুটিতে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে ভারত। দু’জনই অর্ধশতক তুলে নেন। সমান ৫০ রান করে মুশীর আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

ইনিংস সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন অভিষেক। ৪২ ওভার ৪ বল খেলে অল আউট হওয়ার আগে ১৮৮ রান করে ভারত। বাংলাদেশের হয়ে মারুফ ৪১ রানে ৪ এবং শেখ পারভেজ জীবন, রোহানাত ২টি করে উইকেট নেন।

জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার জিশান আলমকে হারায় বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের ভেতরই ফিরে যান চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (১৩) ও আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলী (৭)। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যুবারা।

এই দলের অন্যতম অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আরিফুল। গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপও খেলেছেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চাপের মুহূর্তে দলের হাল ধরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। চতুর্থ উইকেটে আহরার আমিনকে নিয়ে গড়েন ১৩৮ রানের জুটি। তাতে চাপ তো দূর হয়ই, একইসাথে জয়ের খুব কাছে চলে যায়।

যদিও এই জয়ে কিছুটা আক্ষেপ লুকিয়ে রেখেছেন আরিফুল। সেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দূরে থাকতেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। রাজ লিম্বানির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ৯০ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৯৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি।

জয় থেকে তখন ১৭ রান দূরে বাংলাদেশ। এরপর মোহাম্মদ শিহাব জেমস ও আহরারের উইকেটও হারায় বাংলাদেশ। ১০১ বলে ৩ চারে ৪৪ রান করেন আহরার। তবে অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বীকে নিয়ে ৪৩ বল হাতে রেখেই ম্যাচ শেষ করেন শেখ পারভেজ জীবন। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন নামান তিওয়ারি।

এদিকে আগামী ১৭ ডিসেম্বর ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত। আজ প্রথম সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ১১ রানে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দেয় তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *