মুক্তি পেয়ে ইসরাইলি বন্দীরা হাসল, আল-কাসসাম সদস্যদের হাত নেড়ে বিদায় জানাল

Slider সারাবিশ্ব

গাজা উপত্যকায় আটক বন্দীদের মধ্য থেকে শনিবার দ্বিতীয় দফায় ১৩ জনকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। মুক্তি পাওয়ার সময় বন্দীদের অনেককে হাসতে দেখা যায়, তারা আল-কাসসাম সদস্যদের হাত নেড়ে বিদায় জানায়।

শনিবার মধ্যরাতে বন্দীদের মুক্তি দেয়া হয়। এসময় বেশ খুশিই দেখা যায় অনেক বন্দীকে। হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড প্রথমে বন্দীদেরকে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) হাতে তুলে দেয়। তারাই বন্দীদেরকে মিসরের রাফাহ ক্রসিং পার করে ইসরাইলের হাতে তুলে দেয়। ইসরাইল সেখান থেকে তাদেরকে ইসরাইলের ভেতরে নিয়ে যায়।

বন্দীদের যখন রেড ক্রিসেটের কাছে হস্তান্তর করা হয়, তখনই তাদেরকে হাসতে দেখা যায়, হাত নেড়ে বিদায় জানায় আল-কাসসাম ব্রিগেডের সদস্যদের।

কঠিন চাপে ইসরাইল

যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু না করার জন্য কঠিন চাপে আছে ইসরাইল।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) আলজাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এমন মন্তব্য করেন গালফ স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক এবং কাতার ইউনিভার্সিটির সমসাময়িক মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির অধ্যাপক মাহজুব জুইরি।

তিনি বলেন, চার দিনের যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু না করার জন্য ‘তীব্র চাপে’ থাকবে ইসরাইল। কারণ, গাজা থেকে যে ছবিগুলো আসছে, তাতে ধ্বংসের যে মাত্রা দেখানো হয়েছে, সেটা জনমতের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া এটা তো স্পষ্ট যে ইসরাইলের সবচেয়ে বড় মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অপারেশন চালিয়ে যাওয়াতে বিশেষ কোনো স্বার্থ নেই।

তবে তিনি এ দাবিও করেছেন, ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলছেন যে ইসরাইল পুনরায় গাজা আক্রমণের জন্য প্রস্তুত।

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির এই অধ্যাপক বলেন, আমি নিশ্চিত নই যে তারা শুধু যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্যই এটা বলছে কিনা। তবে এটা নিশ্চিত যে এর মাধ্যমে তারা আরো ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তি লাভ এবং হামাসকে আরো চাপে রাখার জন্য এমনটি বলছে।

তিনি আরো বলেন, যত বেশি বন্দীকে মুক্তি দেয়া হবে, আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা তত কমে যাবে।

সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল এবং অন্যান্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *