আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগেই বলা হয়েছিল, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বাগড়া দেবে বৃষ্টি। প্রথম ইনিংসে দুইবার বৃষ্টির কারণে কিছু সময় ম্যাচ স্থগিত থাকলেও পুরো ৫০ ওভারই খেলতে পারে ভারত। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে আর প্রকৃতি সহায় হয়নি। ইনিংস বিরতির সময়ে শুরু হওয়া বৃষ্টি একদফা থামার পর আবারও মুষলধারে নামে। তাই ম্যাচ আর মাঠে গড়ায়নি। পরিত্যক্ত হওয়ায় ১ পয়েন্ট ভাগাভাগি করল দুই দল। প্রথম ইনিংসে দারুণ লড়াই দেখলেও দ্বিতীয় ইনিংসের রোমাঞ্চ উপভোগ করতে পারল না দর্শকরা।
গ্রুপ ‘এ’ তে প্রথম ম্যাচে নেপালকে হারিয়েছিল পাকিস্তান। এই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ‘এ’ গ্রুপ থেকে পাকিস্তানের সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেল। নেপালের বিপক্ষে ভারতের পরের ম্যাচেই ফয়সালা হবে এই গ্রুপ থেকে অন্য কোন দল খেলবে সুপার ফোরে। অবশ্য তুলনামূলকভাবে অনেক দুর্বল নেপালের বিপক্ষে ভারতের জয়ই অনুমেয়।
শ্রীলংকার ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে আজ শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় শুরু হয় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। টস জিতে ব্যাটে নেমে ভারত ৪ ওভার ২ বল খেলতেই নামে বৃষ্টি, রান তখন বিনা উইকেটে ১৫। বৃষ্টির কারণে প্রায় আধা ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার পর আবারও খেলা শুরু হয়। তবে কোনো ওভার কাটা যায়নি। ভেজা পিচে খেলতে নেমেই শাহীন আফ্রিদির তোপের মুখে পড়ে ভারত। তার আগুনে বোলিংয়ে উইকেটে টিকতে পারেননি ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং দলের সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি। ২৭ রানে দুই উইকেট হারানো ভারত ৬৬ রান তুলতে হারায় শুভমান গিল এবং শ্রেয়াস আইয়ারকেও। এই দুজনকে ফেরান আরেক পেসার হারিস রউফ। এর মাঝেই হয়ে যায় আরেক দফা বৃষ্টি।
চতুর্থ উইকেটে পাল্টা আক্রমণে ভারতকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান ইশান কিশান ও হার্দিক পান্ডিয়া। মাত্র ১৪০ বল থেকে ১৩৮ যোগ করেন এই দুজন। ২০৪ রানের মাথায় হারিসের বলে ফেরেন ইশান। যাওয়ার আগে ৮১ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৮২ রান করেন তিনি। এরপর ২৩৯ রানের মাথায় ফেরেন ৯০ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৮৭ রান করা হার্দিক। শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে ক্যাচ তুলে দেন এই ব্যাটার। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জাদেজাও। ২৪২ রানের মাথায় তাকে ফেরান শাহীনই। তার পরের ওভারেই শার্দূলকে ফেরান নাসিম শাহ। শেষের দুই ব্যাটার কুলদ্বীপ যাদব এবং জাসপ্রিত বুমরাহকেও নিজের শিকারে পরিণত করেন নাসিম।
এদিন ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ ছাড়খার করেন পাকিস্তানি পেসাররা। ভারতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৭ বল আগেই ২৬৬ রানে অলআউট করে পাকিস্তান। সবগুলো উইকেটই নেন পেসাররা, শাহিন শাহ ৪টি এবং হারিস রউফ ও নাসিম শাহ ৩টি করে।
অন্যদিকে, স্পিনাররা ছিলেন চূড়ান্ত ব্যর্থ। পাকিস্তানের স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ৯ ওভার করেছেন শাদাব খান। ৫৭ রানের বিনিময়ে কোনো উইকেট পাননি এই লেগ স্পিনার। ৮ ওভারে ৫৫ রান দিয়েছেন মোহাম্মদ নওয়াজ। দুইজনের ইকোনমিই ছয়ের ওপরে। অন্যদিকে শাহিন ও নাসিমের ইকোনমি ছিল চারের আশেপাশে। স্পিনাররা লাগাম টানতে না পারাতেই মাঝের ওভারে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ভারত। ১৫ ওভার থেকে ৪০ ওভার পর্যন্ত ১৫০ বলে ১৪৯ রান করে দলটি, হারায় মাত্র ১ উইকেট।