তারেক রহমানকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

আইন মন্ত্রণালয়েরে দিকনির্দেশনা দিলে একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

আজ একটি মামলায় তারেক রহমানের ৯ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাকে দেশে ফেরানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো উদ্যোগ নেবে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যদি আমাদের (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) অনুরোধ করে অবশ্যই আমরা…। আমরা এরই মধ্যে ব্রিটিশ সরকারকে বলেছি, যারা অবৈধ এরকম লোক আছে, তাদের পাঠাতে। তারা এখনো পাঠায়নি।’

তিনি বলেন, ‘এটা বরং আপনি (প্রশ্নকারী সাংবাদিক) আমাদের বিচার বিভাগকে জিজ্ঞাসা করেন। তারা আমাদের দিকনির্দেশনা দেবে। নিশ্চয়ই তখন আমরা জোর তদবির চালাব। কিন্তু পাঠানোর দায়দায়িত্ব তো ওই দেশের সরকারের।’

রাজধারীর গুলশানের একটি হোটেলে বিএনপির পক্ষ থেকে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘সেটা তারা করতে পারে। এটা ফ্রি কান্ট্রি। যে কেউ কাউকে দাওয়াত দিতে পারে।’

উল্লেখ্য, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

একই সঙ্গে আদালত তারেক রহমানের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তারেককে ৩ কোটি টাকা ও জুবাইদা ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৭ জুলাই মামলাটির যুক্তিতর্কে শুনানি শেষে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন একই আদালত। মামলার আসামি তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান বিদেশে অবস্থান করছেন। তারা বিচারের মুখোমুখি না হওয়ায় তাদের পক্ষে আইনজীবীরা আইনি লড়াই করতে পারেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *