সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ৮ জনের কারাদণ্ড

Slider বাংলার আদালত


ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ২ কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা আত্মসাতের দায়ে সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) হুমায়ুন কবিরসহ আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত অপর সাত আসামি হলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, জিএম ননী গোপাল নাথ, এজিএম সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খান, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, প্যারাগন প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা ও পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এদের মধ্যে হুমায়ন কবির, ননী গোপাল, সাইফুল হাসান, সাইফুল ইসলাম রাজা ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পৃথক দুই ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যার মধ্যে অর্থ আত্মসাতের দায়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত।। যা প্রত্যেকের কাছ থেকে সমহারে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায়যোগ্য হবে।

এছাড়া প্রতারণার দায়ে তাদের আরও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সফিজ উদ্দিন, কামরুল হোসেন ও মাইনুল হককে আট বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। যার মধ্যে অর্থ আত্মসাতের দায়ে তাদের প্রত্যেককে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। যা প্রত্যেকের কাছ থেকে সমহারে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায়যোগ্য হবে। এছাড়া প্রতারণার দায়ে তাদের আরও ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আসামি ডিজিএম আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ দণ্ডিত তিন আসামি মাইনুল হক, সফিজ উদ্দিন ও কামরুল হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দণ্ডিত অপর ৫ আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। দণ্ডিত সব আসামিই হলমার্কের ঋণ কেলেঙ্কারি মামলার আসামি।

২ কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক এরামুল হক চৌধুরী রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা।

২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৫৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের কয়েক মামলায় আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেন পৃথক দুই বিশেষ দায়রা জজ আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *