অবশেষে কাজে দিলো বাজবল তত্ত্ব। নতি স্বীকার করলো অস্ট্রেলিয়া, হলো পরাস্ত। চেষ্টা করেছিলো সফরকারীরা, চেপেও ধরেছিল বেশ শক্তপোক্তভাবেই। তাতে উত্তেজনা ছড়ালো বটে, লড়াই চললো সেয়ানে; কঠিন হলো সমীকরণ। তবে শেষ রক্ষা হলো না। হেডংলি টেস্টে বিজয়ী ইংলিশরাই, অ্যাশেজে পেল প্রথম জয়ের দেখা।
২৫১ রানের লক্ষ্য টপকাতে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল ইংল্যান্ড কোনো উইকেট না হারিয়েই ২৭ রান নিয়ে। জয় থেকে মাত্র ২২৪ রানে পিছিয়ে ছিল তারা, হাতে উইকেট ছিল সবগুলোই। ফলে জয়ের সুবাস মেখেই আজ চতুর্থ দিন শুরু করে ইংলিশরা। সিরিজে টিকে থাকতে জয়টা খুব বেশি প্রয়োজন ছিল তাদের জন্য।
তবে দলটা যখন অস্ট্রেলিয়া, হারার আগে হেরে যাবে ভাবাই যায় না। লড়ে গেলো চোখে চোখ রেখে, একটা সময় তো মনে হচ্ছিলো এই বুঝি ম্যাচ ইংল্যান্ডের থেকে গেল ফসকে! স্টার্কের দাপটে ১৭১ রানেই ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলো ক্যাঙ্গারুরা। হাতে ৪ উইকেট থাকলেও তখনো লক্ষ্য থেকে ৮০ রান দূরে ছিল থ্রি লায়ন্সরা। ফলে বেড়ে যায় উত্তেজনা, কী হয় কী হয় অনিশ্চয়তা!
তবে সব অনিশ্চয়তা দূর করে দেন হ্যারি ব্রুক, বলতে হবে ক্রিস ওকসের নামটাও। দু’জনের ভয়ডরহীন ৫৯ রানের জুটিতে কেটে যায় শঙ্কা। যদিও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি ব্রুক, ফেরেন ৯৩ বলে ৭৫ রান করে। তবে ৩২ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন ওকস।
আগের দিন কোনো উইকেট নিতে না পারলেও রোববার দিনের শুরুতেই অবশ্য চোখ রাঙায় অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ওভারেই ভেঙে দেয় উদ্বোধনী জুটি। বেন ডাকেটকে পকেটে পোরেন স্টার্ক। তার ব্যাটে আসে ৩১ বলে ২২ রান। মইন আলীকেও দ্রুত ফেরান এই পেসার, ৫ রানের মাথায় ভেঙে দেন স্ট্যাম্প।
আরেক ওপেনার জ্যাক ক্রাওলি ফেরেন ২৩ রান করে। ৯৩ রানে ৩ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। জো রুট ইনিংস বড় করতে পারেননি, ২১ রান করে কামিন্সের শিকার তিনি। খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালায় ব্রুক-স্টোকস জুটি। আবারো বাধা হয়ে দাঁড়ান স্টার্ক। স্টোকসের পর বেয়ারেস্টোকেও ফেরান তিনি। ১৭১ রানে ৬ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
পরের গল্পটা ব্রুক-ওকস জুটির। যদিও এই জুটিও ভেঙে দেন স্টার্ক। তবে ততক্ষণে জয়ের নেশায় ইংল্যান্ড যেন ক্ষুধার্ত বাঘ। ব্রুককে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূরণ করেন এই অজি পেসার। বাকি পথটা মার্ক উডকে সাথে নিয়ে অল্প সময়েই পাড়ি দেন ওকস। ১৫ বলে ২৪ রানের জুটি গড়ে নিশ্চিত করেন জয়।