রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক দুর্বল আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের রফতানি আয় এসেছে। মূলত পোশাক রফতানির উপর ভর করে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রফতানি আয় অর্জিত হয়েছে গতবছর, যা এর আগের বছরের (২০২১-২২) তুলনায় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বিদায়ী অর্থবছরে পোশাক রফতানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। এ সময়ে পোশাক রফতানির আয় দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে পোশাক রফতানির আয় ছিল ৪ হাজার ২৬১ কোটি ৩১ লাখ ডলার।
আলোচ্য সময়ে নিট পণ্যের (সোয়েটার, টি-শার্ট জাতীয় পোশাক) রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ২ হাজার ৫৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে নিট পোশাক রফতানির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩২১ কোটি ৪৩ লাখ ডলার।
বিদায়ী অর্থবছরে ওভেন পণ্যের (শার্ট, প্যান্ট জাতীয় পোশাক) রফতানি আয় আগের ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়েছে। ২ হাজার ১২০ কোটি ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ওভেন পণ্য রফতানি হয়েছে ২ হাজার ১২৫ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের। ২০২১-২২ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৮ লাখ ডলার।
তবে সামগ্রিকভাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয় কিছুটা পিছিয়ে আছে। এ সময়ে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
পোশাক ছাড়া প্রধান রফতানি পণ্যের মধ্যে প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি বেড়েছে। এখাতের প্রবৃদ্ধি ২৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। ২০ কোটি ৯৮ লাখ ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রফতানি হয়েছে। তবে আলোচ্য সময়ে প্রধানতম রফতানি পণ্য চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, মাছ, কৃষিজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং রাসায়নিক পণ্যের রফতানি আয় কমেছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২২ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি হয়েছে। মাছ রফতানির পরিমাণ ছিল ৪২ কোটি ২২ লাখ ডলার, কৃষিজাত পণ্য ৮৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার, পাট ও পাটজাত পণ্য ৯১ কোটি ২২ লাখ ডলার এবং রাসায়নিক পণ্য রফতানি হয়েছে ৩০ কোটি ৩০ লাখ ডলারের।
অন্যদিকে একক মাস হিসেবে গত অর্থবছরের সর্বশেষ মাস জুনে রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০৩ কোটি ১৫ লাখ ডলার, যা এর আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি।
সূত্র : বাসস