যেসব বাঙালি খাবার খাচ্ছেন মার্তিনেজ

Slider খেলা

৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তবে গোলবারে ক্ষিপ্রগতির এমিলিয়ানো মার্তিনেজ না থাকলে মেসির জন্য কাজটা অতটা সহজ হতো না। তাই বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন ভক্তরা মেসির সঙ্গে মার্তিনেজের খেলায়ও ছিলেন বুদ। বিষয়টি নজরে আসে আর্জেন্টাইনদেরও। তাদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার কথা পৌঁছে যায় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দ্বারা।

তাইতো কলকাতার ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে নিজ শহরে আনার জন্য প্রথম প্রচেষ্টা চালান, তখন মার্তিনেজ জানিয়ে দেন কলকাতায় আসার আগে বাংলাদেশের যেতে চান তিনি।

সেই কথা রেখে সোমবার ভোরে মার্তিনেজ পা রাখেন বাংলাদেশের মাটিতে। হোটেলে কিছুক্ষণ থেকে যান তাকে নিয়ে আসা স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ফান্ডেড নেক্সটের বাড্ডাস্থ কার্যালয়ে। সেখানে দেখা করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে। এরপর দুপুর দুইটার দিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের জার্সি উপহার দেন।

সব শেষ করে বিকেল ৪টার ৪০ এর দিকে কলকাতায় রওনা দেবেন মার্তিনেজ। সেখানে বেশ কিছু অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে তার। শহরটি তার জন্য আয়োজন করেছে বাহারি সব খাবারও।

পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম মারফত জানা গেছে, হালকা খাবার ও ডেজার্ট হিসেবে মার্তিনেজের জন্য রাখা হয়েছে, আম পোড়া শরবত, তরমুজ ও ফেটা চিজ সালাদ, আমের চাটনি, লুচি-লঙ্কা পায়েস, রসগোল্লা, মিষ্টি দই এবং পান।

এ ছাড়া ভারী খাবার হিসেবে থাকবে আলু পোস্তর ক্যানাপে, মালাই-মুরগি ভুট্টা ক্যানাপে, বাসন্তী পোলাও, ছোলার ডাল, পটল দোলমা, চিটাগাং চিতল মুইঠ্যা, ইলিশ মাছের পাতুরি, ডাব চিংড়ি এবং কাঁচা লঙ্কার মুরগি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *