মিয়ানমারের শীর্ষ নির্বাচন কর্মকর্তা বিদ্রোহীদের হাতে নিহত

Slider সারাবিশ্ব

মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উপপ্রধান সাই কায়াও দু সামরিক সরকারবিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহী যোদ্ধাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। শনিবার মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের পূর্বাংশে থিঙ্গানগিউন এলাকায় তাকে গুলি করা হয়।

এনডিটিভি’র এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায় দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এটি ছিল দেশের জান্তার সঙ্গে যুক্ত একজন হাই-প্রোফাইল ব্যক্তির সর্বশেষ হত্যাকাণ্ড।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পূর্ব ইয়াঙ্গুনের থিঙ্গানগিউন শহরে ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশনের উপ-পরিচালক সাই কিয়াও থুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওই হত্যার জন্য সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী সশস্ত্রবাহিনী দায়ী।

দুই বছরেরও বেশি সময় আগে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ভিন্নমতের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী দমন-পীড়নের নেতৃত্ব দিয়ে দেশটি জুড়ে সামাজিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক সংকটের জন্ম দিয়েছে।

স্বঘোষিত বেসামরিক ‘জনগণের প্রতিরক্ষা বাহিনী’র যোদ্ধারা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

আগের নির্বাচনে ভোটারদের জালিয়াতির অপ্রমাণিত অভিযোগের জন্য ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনীর নেতারা বেসামরিক নেতা অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে।

নির্বাচনী নিয়মের অধীনে পুনরায় নিবন্ধন না করায় দেশটির নির্বাচন কমিশন সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) পার্টিকে গত মাসে বিলুপ্ত ঘোষণা করে।

এদিকে গত শুক্রবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মিয়ানমারের প্রধান সেনাসমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি ইতিমধ্যেই নিবন্ধন করেছে। দলটি ১৯৯০, ২০১৫ এবং ২০২০ সালের নির্বাচনে সু চির এনএলডির কাছে পরাজিত হয়েছিল।

এর আগে গত বছরের এপ্রিলে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরও ইয়াঙ্গুনে তার বাড়িতে অজ্ঞাত হামলাকারীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *