হাওরে একসঙ্গে ধান কাটলেন ৩ মন্ত্রী

Slider টপ নিউজ


সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওরে আনুষ্ঠানিকভাবে বোরো ধান কাটলেন দুই মন্ত্রী ও এক উপমন্ত্রী। এরপর ধান কাটা উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভায় যোগ দেন তারা।

আজ বুধবার দুপুরে শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আস্তমা গ্রামের পাশে বোরো ধান কাটা উৎসবে অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আগাম বন্যার কারণে কৃষকদের ধান ঘরে তোলার আগেই তলিয়ে যায়। এ বছর হাওরে এসে বোরো ধানের বাম্পার ফলন দেখে খুব ভালো লাগছে। ইতোমধ্যে হাওরের ৩০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। আমরা আজকে ধান কাটা উৎসবে এসেছি এবং এই বছর ধানের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, তা থেকে কৃষকরা লাভবান হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যে বছর হাওরে ভালো ধান হয়, সে বছর দেশের মানুষ হাওরের ধান খেতে পারে। আর যে বছর হাওরের ধান বন্যায় তলিয়ে যায়, সে বছর সারা দেশে খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। এই বছর বন্যা আসার আগেই হাওরের ধান ঘরে উঠে যাবে। ইতোমধ্যে ১ হাজার ধান কাটার মেশিন হাওরে ধান কাটছে। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘জলাভূমি হাওরে আর কোনো সড়ক নির্মাণ করা হবে না, উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে, যেটির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে হাওরে ধান ঘরে তোলা সম্ভব নয়, প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বৈজ্ঞানিকভাবে গবেষণা করে ফসলের সময় ১২০ দিনের জায়গায় ১০০ দিন করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করছি এতে আমরা সফল হব। এমনকি আগাম বন্যা আসার আগেই হাওরের ধান ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘কৃষকের ফসল রক্ষায় প্রতিবছর হাওরে বাঁধ তৈরি করে সরকার। যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তা সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে যারা অনিয়ম করবে, তাদের কাউকে ছাড় দেব না। আগামীতে যে সকল বাঁধে বরাদ্দ দরকার শুধু সেগুলোতেই বরাদ্দ দেওয়া হবে। অযথা কোনো বাঁধে বরাদ্দ দেওয়া হবে না।’

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজিত বোরো ধান কাটার উৎসব উপলক্ষে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, পানিসম্পদ সচিব নাজমুল আহসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, পুলিশ সুপার এহসান শাহ, সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালল বিমল চন্দ্র সোম প্রমুখ।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আনোয়ার উজ জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর সিতু, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজনসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *