ছাত্রলীগ নেত্রী কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখল ছাত্রীকে

Slider বাংলার মুখোমুখি


জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে ১০ মিনিট কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরে জান্নাতের বিরুদ্ধে হলে ডেকে নিয়ে নির্যাতনের এ অভিযোগ করেছেন জাকিয়া সুলতানা জয়া নামে ওই শিক্ষার্থী। মানসিক নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গতকাল বুধবার বাড়ি ফিরেন তিনি।

এর আগে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নূরুন্নাহার বেগম হলের ২৩৪ নম্বর রুমে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. এএইচএম মাহবুবুর রহমান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে জাকিয়া সুলতানা জয়া উল্লেখ করেন, আমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার ফিশারিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী নূরে জান্নাত আমাকে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে বলেন। পরে আমি অসুস্থ শরীর নিয়ে গত রবিবার দুপুরে হলে আসি। হলে ঢোকার পর আমাকে সিএসি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আদর ভাইকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু ওই অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। পরদিন সোমবার সকালে আমাকে ও এনিকে (প্রথম বর্ষে প্রথম সেমিস্টার, ব্যবস্থাপনা বিভাগ) হলে যেতে বলা হয়। ওই দিন আমি ও এনি হলে যাই। তখন আমাকে এনির সামনে ১০ মিনিট কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। পরে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জয়া বলেন, আমাকে হলে বিষয়ের জন্য ডাকা হয়েছে, আমি ওই সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। কেন আমাকে হলে নিয়ে এ রকম মানসিক নির্যাতন করা হলো তা আমি জানি না। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

ছাত্রলীগ নেত্রী নূরে জান্নাত বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ওই মেয়ে আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। আমায় শুধু শুধু হয়রানি করা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. এএইচএম মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

এদিকে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না, আর কিছু শুনিওনি। এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ বা কেউ কিছু বলেনি।॥

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *