আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আজ, শহর ছেয়ে গেছে ফেস্টুন-ব্যানারে

Slider রাজনীতি

দীর্ঘ সাত বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন আজ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে শহরের টাউন ফুটবল মাঠে প্যান্ডেলসহ দক্ষিণ কোণে নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে বিশালাকার মঞ্চ।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়াল বক্তব্য দেবেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রধান বক্তা এবং খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আমিরুল আলম, পারভীন জামান, গ্লোরিয়া সরকারসহ সমাবেশে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা করার কথা আছে।

এই সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। পদপ্রত্যাশী, নেতা-কর্মীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে তোরণে ছেয়ে গেছে পুরো জেলা শহর। ইতোমধ্যে অতিথি চূড়ান্ত করার পাশাপাশি চারটি উপজেলা ও একটি সাংগঠনিক ইউনিটের ২১৮ জন কাউন্সিলর এবং ১৫ হাজার ডেলিগেটদের আমন্ত্রণসহ সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এই সম্মেলনে অর্ধলক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে জানান আয়োজকরা।

দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার সভাপতি পদে দুজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন নেতার নাম আলোচনায় আছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার এবং জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসের নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, বর্তমান সহসভাপতি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নানের নাম আলোচনায় রয়েছে। তবে, ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের নতুন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চান তৃণমূল নেতাকর্মীরা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করে রাজাকারমুক্ত জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গড়ার আহ্বান তৃণমূল নেতাকর্মীদের।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম বলেন, অতিথি চূড়ান্ত করার পাশাপাশি চারটি উপজেলা ও একটি সাংগঠনিক ইউনিটের (দর্শনা থানা) ২১৮ জন কাউন্সিলর এবং ৫০ হাজার ডেলিগেট ও গণমাধ্যমকর্মীদের আমন্ত্রণসহ সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়াও, আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ১০ হাজারের অধিক আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতাদের।

তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী জেলা মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি-সম্পাদকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ১৪ দলীয় জোটসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের সকল দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হবে এ যাবৎকালের সব চাইতে বড় জনসমাগমপূর্ণ, উৎসবমুখর, আনন্দঘন এবং জমকালো।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে এ সম্মেলনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দলের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর কন্যা যে সিদ্ধান্ত দিবেন, সেটাই আমরা মেনে নেবো। দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবো।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কাউন্সিলে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারকে সভাপতি ও আজাদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *